স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে নিজ দলের গোলাপী বলে প্রথম দিবা-রাত্রির টেস্ট নিয়ে চতুর্দিকের চরম উদ্দীপনার সঙ্গে অভ্যস্থ নন বাংলাদেশ অধিনায়ক মমিনুল হক। মাঠের বাইর কী ঘটছে সে দিকে না তাকিয়ে নিজেদের খেলার বিষয়েই বেশি মনোযোগী হতে চান টাইগার দলপতি।
গোলাপী বলে দিবা-রাত্রির প্রথম টেস্টকে স্মরণীয় করে রাখতে যা কিছু করণীয় তার সব কিছুই করছেন ভারতীয় ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা বিসিসিআই’র সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি। এটি কলকাতার দর্শকের মধ্যে এতটাই আবেগ সৃষ্টি করেছে যে ম্যাচের প্রথম চারদিনের সব টিকিট বিক্রি হয়ে গেছে। স্মরণীয় এ ম্যাচকে ঘিরে কলকাতার গোটা শহর জুড়ে বিরাজ করছে বাড়তি উল্লাস ও উত্তেজনা। ইতোমধ্যে কোলকাতা শহরটি ‘সিটি অব জয়ে’ পরিণত হয়েছে।
শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বাংলাদেশ সময় দুপুর দেড়টায় শুরু হবে ঐতিহাসিক এ টেস্ট। টসের ঠিক আগমুহূর্তে দুই দলের অধিনায়কের জন্য গোলাপী বল নিয়ে ইডেন গার্ডেনে অবতরণ করবে ভারতীয় আর্মির প্যারাট্রুপাররা। এরপর ঘণ্টা বাজিয়ে ম্যাচের উদ্বোধন করবেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও পশ্চিম বঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী।
ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল (ক্যাব) ২০০০ সালে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে অংশগ্রহণকারী ক্রিকেট দলের সদস্যদের জানানো হবে বিশেষ সম্মান। বাংলাদেশ দলের অভিষেক টেস্টে অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক ঘটেছিল সৌরভ গাঙ্গুলির। শুক্রবার মাঠে উপস্থিত থাকবেন ভারতের কিংবদন্তী ক্রিকেটার শচিন টেঙ্গুলকারের মত ক্রিকেট তারকারাও।
ম্যাচটির উন্মাদনা ছুয়ে গেছে স্থানীয় মানুষের মধ্যেও। কলকাতা নগরী পরিণত হয়েছে ‘উৎসবের নগরীতে’। বিভিন্ন স্থান ভরে গেছে গোলাপী রঙের আভায়। গোলাপী রঙে থ্রিডি ম্যাপিং করা হয়েছে ২২তলা বিশিষ্ট টাটা ভবন ও ৪২ তলা বিশিষ্ট শহরের সুউচ্চ ভবনও।
এদিকে ম্যাচ শুরু আগের দিন বৃহস্পতিবার বাংলাদেশ অধিনায়ক বলেন, ‘আমি মনে করি না এসব উচ্ছাস আমাদের আক্রান্ত করবে। কারণ পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আপনি এসব বিষয়ে দিকে মনোযোগী হতে পারেন না। আপনাকে নিজের কাজেই বেশি মনোযোগ দিতে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমার কথা হচ্ছে মাঠের বাইরের পরিবেশকে আনন্দদায়ক করার জন্য যা কিছু করার তা করবে আয়োজকরাই। আর আমার মনোযোগ দিতে হবে নিজের ক্রিকেটের প্রতি। সুতরাং পেশাদার ক্রিকেটার হিসেবে আমি মনে করি না বাহ্যিক বিষয়গুলো আমাদের ক্রিকেট থেকে মনোযোগ সরিয়ে দিতে পারবে।’
মমিনুল বলেন, তারা প্রথমবারের মত দিবা-রাত্রির ক্রিকেট খেলতে যাচ্ছে। সেটি নিয়ে কিছুটা রোমাঞ্চ থাকবে। তবে সেটি দিয়ে খেলাটিকে বাধাগ্রস্ত করা যাবে না।
টাইগার দলপতি বলেন, ‘দিন শেষে আপনাকে ক্রিকেটটাই খেলতে হবে। সেখানে বল বা অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করার কিছু নেই। তবে হ্যাঁ, গোলাপী বলের সঙ্গে আমরা কিভাবে খাপ খাওয়াব, সেটি নিয়ে কিছুটা উত্তেজনা কাজ করতেই পারে।’