ইন্দোরের হলকার স্টেডিয়ামে রোববার (১৭ নভেম্বর) থেকে গোলাপি বলে অনুশীলন শুরু করেছে বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দল। এর মধ্য দিয়ে কলকাতায় ফ্লাড লাইটের আলোতে (দিবা-রাত্রি) টেস্ট ম্যাচের প্রস্তুতি শুরু করলো টাইগাররা।
কলকাতার মাটিতেই গোলাপি বলের প্রস্তুতি শুরু করার কথা ছিল টাইগারদের। তবে তিনদিনের মধ্যেই স্বাগতিক ভারতের কাছে ইনিংস ও ১৩০ রানে হেরে যাওয়ায় ইন্দোরে বাকি দুইদিন টাইগারদের কাটাতে হচ্ছে। মমিনুলদের ১৯ নভেম্বর কলকাতার উদ্দেশে ইন্দোর ছাড়ার কথা রয়েছে।
ইন্দোরে এটি ঐচ্ছিক অনুশীলন হলেও সফরকারী দলের সব সদস্যই গোলাপি বলের অনুশীলনে উপস্থিত ছিলেন। কারণ, গোলাপী বলে খেলার পূর্ব কোন অভিজ্ঞতা নেই টাইগারদের। ভারতীয়দেরও গোলাপি বলে খেলার পূর্ব কোন অভিজ্ঞতা নেই।
স্বাগতিকরা যেমন লাইটের আলোর অপরিচিত পরিবেশে টেস্ট খেলতে নামছে, তেমনি টাইগাররাও গোলাপী বলের অজ্ঞাত খেলায় মানিয়ে নেওয়ার জন্য সম্পূর্ণভাবে মনোনিবেশ করেছে। অনভ্যস্ত গোলাপি রঙের এসজি বলে খেলায় আরেকটি ধুসরতার জন্ম দিয়েছে। আর সেটি হচ্ছে, লাইটের আলোতে শিশির ভেজা পরিবেশে কী ঘটবে?
নভেম্বর মাসে এ খেলার আয়োজন করার কারণে সেখানে যে শিশিরের উপস্থিতি ঘটবে সেটি নিশ্চিত। তবে এটি জানা নেই, গোলাপি বলে এর প্রভাব কতটুকু পড়বে।
এদিকে প্রথম টেস্টে বাংলাদেশ দলের একমাত্র সফল বোলার আবু জায়েদ রাহি। যিনি ইতিবাচক মনোভাব ছাড়া আর বেশি দূরে তাকাতে চান না। দুটি দলেরই এটির সঙ্গে পূর্ব পরিচিতি নেই। বরং তিনি বেশি মনোযোগ দিতে চান গোলাপি বলে সিম পজিশনকে কিভাবে কাজে লাগাবেন তা নিয়ে।
আবু জায়েত রাহি বলেন, সত্যিকার অর্থে এ খেলার জন্য দুই দলই নতুন। এদের মধ্যে যে দলটি বেশি ভালো করতে পারবে তারাই প্রত্যাশিত ফল লাভ করবে। নতুন বল হওয়ার কারণে আমরা এর মুভমেন্ট পরিমাপ করতে পারব। আমাদের বুঝা দরকার, এটি কতটুকু সুইং করবে, অথবা করবে না।