ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশি পেসার আবু জায়েদ রাহি ও এবাদত হোসেনের প্রশংসা করেছেন টাইগার কোচ রাসেল ডোমিঙ্গো। স্বাগতিক দলের পড়ে যাওয়া ছয় উইকেটের মধ্যে ৫টিই ভাগ করে নিয়েছেন টাইগার দলের এ দুই পেসার।
তবে এবাদত তার লাইন ও লেন্থ ঠিক রাখতে পারেননি। তারপরও স্পিনারদের চেয়ে ভালো করেছেন তিনি। সেখানকার পিচ থেকে কোন সহায়তাই পায়নি স্পিনাররা। ডোমিঙ্গোর মতে তৃতীয় একজন সিমার থাকলে রাহি ও এবাদত সহযোগিতা পেত। তাতে হয়তো স্বাগতিক ভারতীয়দের ব্যাটিংকে নিয়ন্ত্রণ করা যেত।
ডোমিঙ্গো বলেন, দলের বর্তমান কাঠামোর পরিবর্তন দরকার। দুই সিমার দিয়ে খেলানো বেশ কঠিন। এ দিন ৬ উইকেটের বিনিময়ে ৪৯৩ রান সংগ্রহ করেছে ভারত। বাংলাদেশের ১৫০ রানের জবাবে এখন ৩৪৩ রানে এগিয়ে রয়েছে স্বাগতিকরা।
টাইগার কোচ বলেন, আমাদের অবশ্যই এমন কোন সিমার খুঁজে বের করতে হবে যে ব্যাটিংটাও পারে। এক্ষেত্রে সাইফুদ্দিনের নাম আসতে পারে। কিন্তু তিনি এখন ইনজুরির কবলে রয়েছেন। তবে দলের কাঠামোর পরিবর্তন দরকার। আমার মনে হয় বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলতে যাওয়া অনেক দলই ভালো উইকেট তৈরি করে। যেখানে স্পিনের খুব একটা সুযোগ থাকে না। আমাদের এমন সিমার খুঁজে বের করতে হবে যে সপ্তম বা আট নম্বরে এসে ব্যাট করতে পারবে।
অবশ্য তিনি এটিও বলেন যে, অতীতে বাংলাদেশ দলে তিন সিমার তত্ত্ব কাজ করেনি। ডোমিঙ্গো বলেন, ঘটনার পর বোধোদয় একটি দারুন বিষয়। আমরা তিন সিমার তত্ত্ব হয়তো বিবেচনা করব। তবে সেটি আমাদের ব্যাটিং লাইন আপকে হালকা করে দিতে পারে। আমরা হয়তো তিন সিমার দিয়ে খেলবো। কিন্তু সেটি খুব একটা কার্যকরী হয়নি।
বাংলাদেশ কোচ আরও বলেন, এটি ছিল কঠিন দিন (শুক্রবার)। ভারতই প্রশংসা পাওয়ার দাবিদার। গত দুই দিন ধরে তারা আমাদের ওপর একচেটিয়া আধিপত্য বিস্তার করে রেখেছে। তৃতীয় দিনটি অপেক্ষা করছে। এটি বেশ কঠিন পরিস্থিতি। এখন আমাদের এমন ব্যাটসম্যান দরকার যারা ১০০, ১৫০ বা ২০০ রান করতে পারবে। যেমনটি আজ (শুক্রবার) করে দেখিয়েছেন ভারতীয় ব্যাটসম্যান মায়াঙ্ক আগরওয়াল। সুতরাং এটি করতে পারলে দ্বিতীয় ইনিংসে আমাদের ভালো সুযোগ সৃষ্টি হবে।