ইন্দোরের হলকার স্টেডিয়ামে স্বাগতিক ভারতের বিপক্ষে প্রথম টেস্টে চাপ মুক্ত মানসিকতা নিয়েই মাঠে নামবে বাংলাদেশ। কারণ, শক্তিশালী ভারতের বিপক্ষে কেউ বাংলাদেশের জয় প্রত্যাশা করছে না। ফলে দলের ওপর বাড়তি কোন চাপও থাকছে না বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ টেস্ট ক্রিকেটের ১১তম অধিনায়ক মমিনুল হক।
বিশ্বসেরা অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসান নিষিদ্ধ হওয়ায় ভারতের বিপক্ষে এ সিরিজের নেতৃত্ব পাওয়া মমিনুলের মতে, ভারতের বিপক্ষে টেস্ট খেলতে পারাটাই বাংলাদেশের জন্য বড় অনুপ্রেরণা। একই সঙ্গে ম্যাচ জয়ের কোন বাড়তি চাপও থাকছে না। ফলে ক্রিকেটাররা ম্যাচটি দারুণভাবে উপভোগ করতে পারবে।
ম্যাচ শুরু আগের দিন বুধবার মমিনুল বলেন, যখন ম্যাচ জয়ের প্রত্যাশা থাকে তখন দলের ওপর বাড়তি চাপ পড়ে। আমি মনে করি এ ম্যাচটি আমরা উপভোগ করব। কারণ কেউ আশা করছে না ভারতের বিপক্ষে আমরা জয়ী হব। তবে এর মানে এই নয় যে, আমরা জয় পাওয়ার চেষ্টা করব না।
বাংলাদেশ দলের নতুন এ টেস্ট অধিনায়ক বলেন, এর মানে এই নয় যে, আমরা জয় পাওয়ার জন্য কঠোর পরিশ্রম করব না। আমার বক্তব্য হচ্ছে, এখানে আমরা চাপ মুক্ত হয়ে খেলতে পারব। ফলে আমরা আমাদের খেলাটিকে উপভোগ করতে পারব। তবে এটি নিশ্চিত যে জয়ের লক্ষ্য নিয়েই আমরা মাঠে নামব।
সম্প্রতি তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সফরকারী দক্ষিণ আফ্রিকাকে হোয়াইটওয়াশ করেছে স্বাগতিক ভারত। তন্মধ্যে শেষ দু’টিতে প্রোটিয়াদের হারিয়েছে ইনিংস ব্যবধানে। প্রথম টেস্টটিও ছিল একপেশে। ওই ম্যাচেও ইচ্ছে করলে সফরকারীদের ফলোঅনে ফেলতে পারতো স্বাগতিকরা। সিরিজে বোলাররা ছিলেন অত্যন্ত আগ্রাসী।
সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকা স্বাগতিক দলের ২৫ উইকেট শিকার করতে সক্ষম হয়েছে পক্ষান্তরে ভারত তুলে নিয়েছে প্রেটিয়াদের ৬০ উইকেটের সবক’টি। ভারতীয় ব্যাটসম্যানরাও ছিল দারুণ ফর্মে। ধারাবাহিক ব্যাটিং দিয়ে প্রতি ম্যাচেই তারা সংগ্রহ করেছে পাঁচ শতাধিক রান।
এসব তথ্য বেশ ভালোভাবেই জানেন মমিনুল হক। তিনি বলেন, ভারতে খেলাটা আমাদের জন্য দারুণ সুযোগ। খেলোয়াড়রা এখানে খেলার ব্যাপারে অনেক আগে থেকেই রোমঞ্চিত। এ জন্য প্রয়োজনীয় প্রস্তুতিও নিয়ে রেখেছে। আমি জানি, তারা কতটা শক্তিশালী। ব্যাটিং লাইন যেমন শক্তিশালী তেমনি বোলিং বিভাগও। আমরা চাই নিজেদের দায়িত্বটাই সঠিকভাবে পালন করতে। আমরা এমন ক্রিকেট খেলতে চাই যাতে ভারতকে কঠিন অবস্থায় পড়তে হয়।
কোন অনুশীলন ছাড়াই প্রথম টেস্টে খেলতে নামছে বাংলাদেশ। তবে দ্বিতীয় টেস্টে তাদের খেলতে হবে ফ্লাড লাইটের আলোতে গোলাপি বলে। যেটি এখনো তাদের কাছে অস্পষ্ট। কারণ, বাংলাদেশ কখনো গোলাপি বলে খেলেনি। তবে অনুশীলনের ঘাটতি নিয়ে খুব একটা চিন্তিত নন মমিনুল।
টাইগারদের টেস্ট অধিনায়ক বলেন, সবাই কম-বেশি ক্রিকেটের মধ্যেই ছিলেন। টেস্ট দলে সদ্য যোগ দেওয়া আট ক্রিকেটারের সবাই জাতীয় ক্রিকেট লিগ (এনসিএল) খেলে এসেছেন। সর্বশেষ ৫ মাসে আমি অন্তত ১০টি প্রথম শ্রেণির মাচে অংশ নিয়েছি। ভারত আসার আগে মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদও এনসিএলে খেলেছেন। সুতরাং আমার মনে হয় আমাদের পর্যাপ্ত প্রস্তুতি রয়েছে।