বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ১১তম টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হচ্ছে বাঁ-হাতি ব্যাটসম্যান মমিনুল হকের। নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান আইসিসির নিষেধাজ্ঞায় থাকায় ভারতের বিপক্ষে চলমান টেস্ট সিরিজে দলকে নেতৃত্ব দেবেন তিনি।
২০০০ সালে অভিষেক টেস্টে বাংলাদেশ দলের নেতৃত্ব দিয়েছিলেন নাইমুর রহমান দুর্জয়। দুর্জয়ের পর গত ১৯ বছরে বাংলাদেশকে নেতৃত্ব দিয়েছেন আরও ৯ জন। এবার বাংলাদেশের ১১তম টেস্ট অধিনায়ক হিসেবে রেকর্ড বইয়ে নাম তুলবেন মমিনুল হক।
নাইমুর রহমান দুর্জয় ছাড়া টেস্ট ক্রিকেটে নেতৃত্ব দেওয়া বাকি ৯ টাইগার হলেন- খালেদ মাসুদ পাইলট, খালেদ মাহমুদ সুজন, হাবিবুল বাশার সুমন, মোহাম্মদ আশরাফুল, মাশরাফি বিন মর্তুজা, সাকিব আল হাসান, মুশফিকুর রহিম, তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।
দুর্জয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশ ৭ ম্যাচের ৬টিতে হেরেছে বাংলাদেশ। বাকি ম্যাচটি ছিল ড্র। খালেদ মাসুদ পাইলট ১২টি ও সুজন ৯টি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তাদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দল সবক’টি ম্যাচেই হেরেছে।
বাংলাদেশের চতুর্থ টেস্ট অধিনায়ক ছিলেন হাবিবুল বাশার। তার নেতৃত্বেই বাংলাদেশ প্রথম টেস্টে জয়ের মুখ দেখে। ২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে টেস্টে বাংলাদেশ প্রথম জয়ের স্বাদ নেয়। শেষ পর্যন্ত তার নেতৃত্বে ১৮ ম্যাচে ১টি জয়, ১৩টি হার ও ৪টিতে ড্র করে বাংলাদেশ।
আশরাফুলের নেতৃত্বে বাংলাদেশ খেলেছে ১৩টি টেস্ট ম্যাচ। যেখানে ১২টিতে হার ও একটিতে ড্র ছিল। মাশরাফি একটি ম্যাচে নেতৃত্বে নেমেছিলেন। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে। ঐ ম্যাচে ইনজুরিতে পড়ে মাঠ ছাড়েন তিনি। পরে সাকিব দলকে নেতৃত্ব দেন। ঐ ম্যাচটি জিতে বাংলাদেশ। ফলে মাশরাফির অধীনে ১টিতে নেতৃত্ব দিয়ে ১টিতেই জয় লেখা রয়েছে।
সাকিব পরবর্তীতে অধিনায়ক হয়ে ১৪ ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন। তার নেতৃত্বে তিনটিতে জয়, ১১টিতে হারের স্বাদ রয়েছে বাংলাদেশের।
টেস্টে বাংলাদেশকে সবচেয়ে বেশি নেতৃত্ব দিয়েছেন মুশফিকুর রহীম। ৩৪টি ম্যাচে। তার অধীনে ৭টিতে জয়, ১৮টিতে হার ও ৯টিতে ড্র করে বাংলাদেশ।
এছাড়া তামিম ১টিতে নেতৃত্ব দিয়ে হার ও মাহমুদউল্লাহ ৬টিতে নেতৃত্ব দিয়ে ১টি জয়, ৪টি হার ও ১টি ড্র করে।