২১তম জাতীয় ক্রিকেট লিগের (এনসিএল) তৃতীয় রাউন্ডে প্রথম স্তরের ম্যাচের প্রথম দিনই সেঞ্চুরি করলেন খুলনা বিভাগের ওপেনার এনামুল হক বিজয় । ঢাকা বিভাগের বিপক্ষে ১১২ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলে আহত অবসর নেন এনামুল। তার ব্যাটিং নৈপুণ্যে প্রথম দিন শেষে ৯১ ওভারে ৬ উইকেটে ২৯০ রান সংগ্রহ করেছে খুলনা।
কক্সবাজারের শেখ কামাল আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টস জিতে প্রথমে ব্যাটিং বেছে নেয় খুলনা বিভাগ। ব্যাট হাতে ভালো শুরু হয়নি তাদের। নবম ওভারের প্রথম বলে দলীয় ১৬ রানে প্রথম উইকেট হারায় খুলনা। ডান-হাতি পেসার সুমন খানের বলে ব্যক্তিগত ১০ রানে আউট হন ওপেনার রবিউল ইসলাম রবি।
সুমনের ওই ওভারের শেষ বলে বিদায় নেন তিন নম্বরে খেলতে নামা মেহেদী হাসানও। তিনি শূন্য হাতে ফিরলে ১৬ রানেই দ্বিতীয় উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে খুলনা।
এরপর শুরুর ধাক্কা সামাল দিয়ে দলকে ভালো অবস্থায় নিয়ে যান বিজয় ও অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান তুষার ইমরান। তাই ২ উইকেটে ৮২ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন-বিরতিতে যেতে পারে খুলনা। বিরতির পরও ঢাকার বোলারদের ওপর আধিপত্য বিস্তার করে খেলেন এ জুটি। ইনিংসের ৫৪তম ওভারেই প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে নিজের ১৯তম সেঞ্চুরি তুলে নেন বিজয়।
বিজয়ের সেঞ্চুরির পর হাফ-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন তুষার। তবে হাফ-সেঞ্চুরির পর ইনিংসটি বড় করতে পারেননি তিনি। নামের পাশে ৫৫ রান রেখে ঢাকার বাঁ-হাতি স্পিনার তাইবুর রহমানের শিকার হন তিনি। ১২৪ বল মোকাবেলা করে ৬টি চার মারেন তুষার। তৃতীয় উইকেটে এনামুলের সাথে ১৬৬ রানের জুটি গড়েন তুষার।
তুষারের বিদায়ের পর আহত অবসর নেন বিজয় । ২০৫ বল মোকাবেলা করে ২৪০ মিনিট ক্রিজে থেকে ৯টি চার ও ৫টি ছক্কা মারেন তিনি।
এরপর ক্রিজে গিয়ে ব্যাট হাতে ব্যর্থ হন আগের ম্যাচের হিরো উইকেটরক্ষক নুরুল হাসান। ১ রান করে তাইবুরের দ্বিতীয় শিকার হন তিনি। দ্বিতীয় রাউন্ডে রাজশাহী বিভাগের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে অপরাজিত ৯৭ রান করে ম্যাচ সেরা হয়েছিলেন নুরুল।
২২ রানের ব্যবধানে তুষার-নুরুলের সাথে এনামুলের (আহত অবসর) ফিরে যাওয়াতে আবারও চাপে পড়ে খুলনা। সাত নম্বরে নামা জিয়াউর রহমানকে নিয়ে দলকে চাপমুক্ত করার চেষ্টা করেন মোহাম্মদ মিঠুন। ওয়ানডে মেজাজে খেলতে থাকেন মিঠুন। তাই দ্রুতই হাফ-সেঞ্চুরির পথ উজ্জ্বল হয় তার। তবে ঢাকার ডান-হাতি লেগ-স্পিনার জুবায়ের হোসেনের বলে বোল্ড হয়ে ব্যক্তিগত ৪৫ রানেই থেমে যান মিঠুন। ৪৮ বল মোকাবেলা করে ৬টি চার ও ৩টি ছক্কা মারেন তিনি। ৪৫-এর মধ্যে ৪২ রানই বাউন্ডারি-ওভার বাউন্ডারি থেকে তুলে নেন মিঠুন।
দলীয় ২৪৬ রানে পঞ্চম ব্যাটসম্যান হিসেবে মিঠুনের পর ফিরতে হয় জিয়াকেও। ধীরলয়ে খেলে ২৭ রানে থেমে যান তিনি। এরপর দুই টেল-এন্ডার মেহেদী হাসান মিরাজ ও অধিনায়ক আব্দুর রাজ্জাক দিনের বাকি সময়ে জুটি বেধে আর কোন উইকেটের পতন হতে দেননি। মিরাজ ৬টি চারে ৩০ ও রাজ্জাক ৪ রানে অপরাজিত আছেন। ঢাকা বিভাগের সুমন-তাইবুর ২টি করে উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
খুলনা বিভাগ : ২৯০/৬, ৯১ ওভার (এনামুল ১১২ আহত অবসর, তুষার ৫৫, তাইবুর ২/৪০)।