লন্ডনের ওভালে অ্যাশেজ সিরিজের পঞ্চম টেস্টে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হবে স্বাগতিক ইংল্যান্ড। এ ম্যাচে জয় সিরিজে সমতা এনে হলেও ঘরের মাঠের সাফল্য অক্ষত রাখার লক্ষ্য স্থির করেছে ৫০ ওভার ক্রিকেটের বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। পক্ষান্তরে ইতোমধ্যেই এগিয়ে যাওয়া অস্ট্রেলিয়ার লক্ষ্য সিরিজ জয়।
মূলত স্বাগতিকদের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে সিরিজে অসি দলের শীর্ষ রান সংগ্রহকারী স্টিভ স্মিথকে প্রতিহত করার উপায় খুঁজে বের করা। ইতোমধ্যে সিরিজে মোট ৫ ইনিংসে অংশ নিয়ে ৬৭১ রান সংগ্রহ করেছেন স্মিথ।
পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া। বর্তমান শিরোপাধারীরা জয়লাভ করেছে বার্মিংহ্যাম ও ম্যানচেস্টারে। আর হেরে গেছে লিডস টেস্টে। টিম পাইনের নেতৃত্বাধীন অস্ট্রেলিয়ার এখন প্রধান লক্ষ্য শিরোপা ধরে রাখা। তাহলে ২০০১ সালের পর ইংল্যান্ডের মাটিতে এটিই হবে তাদের প্রথম অ্যাশেজ শিরোপা।
ব্যাট হাতে তিনটি সেঞ্চুরি এবং দুটি হাফ সেঞ্চুরিতে ভর করে নিজ দলকে দারুণভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছেন র্যাংকিংয়ের শীর্ষে থাকা ব্যাটসম্যান শীর্ষ স্মিথ। তন্মধ্যে আবার একটি ডাবল সেঞ্চুরিও রয়েছে স্মিথের সংগ্রহে। ম্যানচেস্টারে ডাবল সেঞ্চুরি হাকিয়ে দলকে বিজয়ী করেছিলেন তিনি।
বল টেম্পারিংয়ের দায়ে ১২ মাসের নির্বাসন শেষে টেস্টে ফিরেই রানের পাহাড় রচনা করতে শুরু করেছেন স্মিথ। স্বাগতিক পেসার জোফরা আর্চারের বলের আঘাতে আহত হয়ে তিনটি ইনিংস খেলতে পারেননি তিনি। তারপরও তার ধারে কাছে পৌঁছাতে পারেনি অন্য ব্যাটসম্যানরা। তিনি যদি পুরো সিরিজটি খেলতে পারতেন তাহলে হয়তো টপকে যেতেন অ্যাশেজের এক সিরিজে ডন ব্র্যাডম্যানের ৯৭৪ রানের সংগ্রহেক। ১৯৩০ সালে এ বিরল রেকর্ড গড়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার এ কিংবদন্তী ক্রিকেটার।
অসি দলের আরেকটি বড় অস্ত্র হচ্ছে পেস আক্রমণের সামর্থ্য। বিশ্বের এক নম্বর র্যাংকধারী পেসার প্যাট কামিনস ও জস হ্যাজেলউড ইতোমধ্যে যৌথভাবে সংগ্রহ করেছেন ৪২টি উইকেট। অবশ্য দারুণ দক্ষতা প্রদর্শনকারী জো রুট অনুপ্রাণীত করতে পারেন তার সৈনিকদের। যার নজর কাড়া পারফর্মেন্স ইংল্যান্ডকে প্রথমবারের মত ৫০ ওভারের ক্রিকেটের শিরোপা এনে দিয়েছে।
তবে অ্যাশেজে ব্যর্থ হলে রুটকে প্রশ্নের মুখে ফেলে দেবে। যদিও ইংল্যান্ডের শিরোপা পনরুদ্ধারে এ অধিনায়ক সহযোগিতা করতে পারবেন বলে স্থির বিশ্বাস ইংলিশ কোচ ট্রেভর বেলিসের।
তিনি বলেন, ‘যে কোন সিদ্ধান্তে তাকে কারও কাছে জবাবদিহি করতে হয় না। যে কারণে কোন রকম চাপের মধ্যেই নেই তিনি। সবারই এ রকম কিছু সময় পার করতে হয়, যখন তারা রান পান না। আমার মনে হয় তার বেলায় অসি বোলাররা অপেক্ষাকৃত বেশি ভালো বল করেন।
তবে এ ম্যাচ জয় উপহার দিয়ে বিদায় জানাতে নিজেদের সেরাটা দিতে মুখিয়ে আছেন স্বাগতিকরা।