প্রথম টেস্টে হারতে হয়েছিল সদ্য বিশ্বকাপের ফাইনালের রানার্স আপ দলকে। দ্বিতীয় টেস্টে তাই আর কোনো ভুল নয়, শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়েই সিরিজে সমতা ফিরিয়ে আনল কেন উইলিয়ামসনের দল।
শ্রীলঙ্কাকে মাত্র ১২২ রানে গুটিয়ে দিয়ে ম্যাচ জিতে নিয়েছে নিউজিল্যান্ড। শ্রীলঙ্কার প্রথম ইনিংসে ২৪৪ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৪৩১ রানে ইনিংস ঘোষণা করেছিল নিউজিল্যান্ড।১৮৭ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাট করতে নেমে শুরু থেকেই বৃষ্টি বিঘ্নিত টেস্টে ভরাডুবির সামনে পড়েছিল শ্রীলঙ্কা। ১২২ রানেই থেমে গিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। এতেই এল বিশাল ব্যবধানে জয়।
শ্রীলঙ্কার পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেেছেন ডিকেওয়ালার, ৫১। তিনি বাদে দু-অঙ্কের রানে পৌঁছেছেন মাত্র তিনজন- কুশল মেন্ডিস (২০), করুণারত্নে (২১) এবং লাকমল (১৪)। রানের খাতা না খুলেই আউট হয়েছেন চার শ্রীলঙ্কান। এদের মধ্যে রয়েছেন দুই ওপেনার থিরিমানে এবং কুশল পেরেরা।
আর নিউজিল্যান্ডের বোলিংয়ে হিরো কোনো একজন নয়। পুরো বোলিং বিভাগই শ্রীলঙ্কার ইনিংসকে থামিয়ে দিয়েছেন। ট্রেন্ট বোল্ট, টিম সাউদি, আজাজ প্যাটেল, সমারভিলে- প্রত্যেকেই দুটো করে উইকেট দখল করেছেন। একটি উইকেট নিয়েছেন গ্র্যান্ডহোমে।
পঞ্চম দিনে ড্রয়ের জন্য শ্রীলঙ্কার প্রয়োজন ছিল গোটা দিল কাটিয়ে দেওয়া। অধিনায়ক করুণারত্নে চোটের কারণে ওপেন করতে নামতে পারেননি। তবে সাত নম্বরে নেমে ডিকেওয়ালার সঙ্গে ষষ্ঠ উইকেটে ৫১ রানের পার্টনারশিপে ম্যাচ প্রায় বাঁচিয়ে দিয়েছিলেন। তবে শেষরক্ষা করতে পারেননি।
বৃষ্টি বিঘ্নিত কলম্বো টেস্টে শ্রীলঙ্কানদের হারাতে নিউজিল্যান্ডকে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছিল প্রকৃতিও। তাঁদের ভয় ছিল, কম আলোর কারণে না আম্পায়াররা ম্যাচের সমাপ্তি ঘোষণা করে দেন। তবে সেসব বাধা উড়িয়েই এলো জয়।
পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন বলেন, “ম্যাচ যখন প্রায় শেষ হয়ে আসছিল, তখন এই সময়ে আলো সবসময়েই একটা ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়ায়। তবে দলের সম্মিলীত প্রচেষ্টাতেই আমরা জয়ী দল হিসেবে মাঠ ছেড়ে বেরিয়েছি।”
অন্যদিকে, দলের হারের জন্য ব্যাটিং ব্যর্থতাকেই দায়ী করেছেন শ্রীলঙ্কান অধিনায়ক করুনারত্নে। তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, “পিচ যথেষ্ট ভালো ছিল। আমাদের স্রেফ ধৈর্য্য ধরে খেলতে হতো। তবে প্রথম ইনিংসে ২৪০ রান মোটেই যথেষ্ট ছিল না।”
এরপর দুই দল পাল্লাকেল্লেতে প্রথম টি টোয়েন্টি ম্যাচে খেলবে।