৮ উইকেট হারিয়ে ১৮৯ রানে তৃতীয় দিন শুরু করেছিল ক্যারিবিয়ানরা। শেষ দিকে লড়েছেন জেসন হোল্ডার। তাঁর ৬৫ বলে ৩৯ রানের ইনিংস ক্যারিবিয়ানদের ২০০ রানে গণ্ডি পার করিয়ে দেয়। ভারতের থেকে ৭৫ রান পিছিয়ে ২২২-এ থেমে যায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের ইনিংস।
শেষে এই যে হোল্ডার লড়লেন, ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২০০ পেরোলো। এতে হোল্ডার ছাড়াও আরেকজেনর অবদান রয়েছে। অবদান রয়েছে অথচ রান তিনি করেননি একটিও। মানে ডাক মেরেছেন। ডাক মেরেছেন অথচ ক্রিজে থেকেছেন ৯৫ মিনিট; অর্থাৎ ব্যাট করেছেন দেড় ঘণ্টারও বেশি। বল খেলেছেন ৪৫টি। তার আর হোল্ডারের পার্টনারশিপে উঠেছে ৪১ রান।
তিনি হলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের মিগুয়েল কামিন্স; দলের শেষ ব্যাটসম্যান। গতকাল বিদঘুটে এক রেকর্ডের পাতায় নাম উঠেছে তার। ৯৫ মিনিট ক্রিজে থেকে, ৪৫টি বল খেলে, একটিও রান না করে, ভারতীয় বোলারদের ধৈর্য্যের চূড়ান্ত পরীক্ষা নিয়ে অবশেষে রবীন্দ্র জাজেদার বলে তিনি আউট হলে অলআউট হয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
দীর্ঘক্ষণ উইকেটে থেকে রানের খাতা খুলতে না পারার দিক থেকে মিগুয়েলের ইনিংসটি টেস্ট ক্রিকেটে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এই তালিকায় প্রথম নিউজিল্যান্ডের সাবেক পেসার জিওফ অ্যালট। ১৯৯৯ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে অকল্যান্ড টেস্টে ১০১ মিনিট উইকেটে থেকে ৭৭ বল মোকাবিলা করেও রানের খাতা খুলতে পারেননি টেইলএন্ডার হিসেবে ব্যাট করতে নামা অ্যালট।
টেস্টের তৃতীয় দিন শনিবার ৮ উইকেটে ১৮৯ রান নিয়ে ব্যাট করতে নামে উইন্ডিজ। ব্যক্তিগত ১০ রান নিয়ে অধিনায়ক জেসন হোল্ডার ও শূন্য রান নিয়ে মিগুয়েল ব্যাট করতে নামেন। তাদের নবম উইকেট জুটিতে আসে মূল্যবান ৪১ রান। রান যা এসেছে হোল্ডারের ব্যাট, আর অতিরিক্ত থেকে। মিগুয়েল শুধু বল মোকাবিলা করে গেছেন একের পর এক বল। রানের খাতা খোলার প্রয়োজনও বোধ করেননি।
২২০ রানে উইকেট ছাড়া হন হোল্ডার (৩৯)। এরপর মিগুয়েল জুটি গড়েন শ্যানন গাব্রিয়েলের সঙ্গে। এই জুটিতে মাত্র দুই বল খেলতেই জাদেজার বলে বোল্ড হয়ে যান মিগুয়েল। ততক্ষণে রেকর্ডের খাতায় নাম ওঠে যায় তার।