ভারতীয় গণমাধ্যমগুলো বিষয়টাকে ভারতীয় ক্রিকেট টিমের পুরোনো রোগ বলে আখ্যায়িত করে। বিষয়টা হলো বল সুইং করলেই নাকি আর দাঁড়াতে পারেন না ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা; যদিও ভারতের ব্যাটিংলাইনআপ বিখ্যাত।
অ্যান্টিগুয়ায় সিরিজের প্রথম টেস্টে টস জিতে ভারতকে ব্যাটিং করতে পাঠিয়েছিলেন ক্যারিবিয়ান অধিনায়ক জেসন হোল্ডার। টস হারার পরেও বিরাট বলে গিয়েছিলেন, উইকেট বেশ ভালো। বড় রান তোলাই হবে লক্ষ্য। যাতে প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলা যায়।
কিন্তু কোহলি মুখে যা বলেছিলেন মাঠের খেলায় তার প্রতিফলন দেখা যায়নি। ২৫ রানের ভেতরেই তিন উইকেট হারিয়ে ধুঁকতে শুরু করে ভারত।
প্রথম দিন, বৃহস্পতিবার লোকেশ রাহুলের সঙ্গে ইনিংসের শুরু করেছিলেন মায়াঙ্ক আগরওয়াল। বোর্ডে পাঁচ রান উঠতে না উঠতেই কেমার রোচের বলে ফেরেন মায়াঙ্ক (৫)। তিনে আসা টেস্টে ভারতের সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য পুজারাও (২) রোচের শিকার হন। এরপর শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বাউন্সারে ব্যাট ছুঁইয়ে কোহলি (৯) যখন প্যাভিলিয়নে ফিরছেন, তখন ২০১৮–এর শুরুতে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরের প্রতিচ্ছবি দেখা যাচ্ছিল।
ওই পরিস্থিতিতে কোনোরকমে রুখে দাঁড়ান অজিঙ্কা রাহানে। প্রথমে লোকেশ রাহুলকে নিয়ে ইনিংস গড়তে শুরু করলেন। কিন্তু রোস্টন চেজের বলে ফিরে যান রাহুল, ৪৪ রান করে। এরপর হনুমা বিহারীকে নিয়ে লড়াই শুরু করেন রাহানে। নিজে করেন ৮১। ইনিংসে ছিল ১০টি চার। হনুমা করেন ৩২।
হঠাৎ বৃষ্টির জন্য প্রথমদিনের খেলা যখন শেষ হয়, ভারতের সংগ্রহ ২০৩/৬। ঋষভ পন্থ (২০) ও রবীন্দ্র জাদেজা (৩) ছিলেন উইকেটে।
দ্বিতীয় দিন আর খুব বেশি টানতে পারেনি ভারত। শেষ পর্যন্ত ২৯৭ রানে থামে ভারতের ইনিংস। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত প্রথম ইনিংসে ব্যাট শুরু করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ১১.২ ওভার খেলা হয়েছে। ১ উইকেটের বিনিময়ে তাদের সংগ্রহ ৩৭।