অ্যাশেজ সিরিজে নতুন মাত্রা যোগ করেছেন জোফরা আর্চার। লর্ডসে নিজের অভিষেক টেস্টে গতি আর বাউন্সারে অজি ব্যাটসম্যানের পরীক্ষা নিয়েছেন বার্বাডোজে জন্ম নেয়া এই ইংলিশ পেসার। এদিকে বাউন্সারের আঘাতের ধকল এখনো কাটিয়ে উঠতে না পারায় হেডিংলিতে তৃতীয় টেস্টে খেলা হচ্ছে না অস্ট্রেলিয়ার সাবেক অধিনায়ক স্টিভ স্মিথের।
সবার ভাবনা ছিলো হয়তো হেডিংলিতে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে অস্ট্রেলিয়াও প্রস্তুত হবে একের পর এক বাউন্সারের অস্ত্র নিয়ে। যে কারণে দলে ফেরানো হতে পারে গতিতারকা মিচেল স্টার্ককে। যিনি দ্রুতগতির বাউন্সারে হেলমেট উড়িয়ে দিতে পারবেন ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের।
তবে অসি কোচ জাস্টিন ল্যাঙ্গারের মাথায় রয়েছে ভিন্ন পরিকল্পনা। তার স্পষ্ট মন্তব্য হলো শুধু একের পর এক বাউন্সার করে আর ক্রিকেটারদের মাথা, ঘাড়ে, হাতে কালশিটে দাগ বসিয়ে ম্যাচ জেতা সম্ভব না। তার দল ইংল্যান্ডে গিয়েছে অ্যাশেজ জিততে, ক্রিকেটার মারার যুদ্ধে নামতে নয়।
অতীতের চেয়ে অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান দল অনেক কৌশলী বলে মনে করেন ল্যাঙ্গার। তিনি বলেন, ‘মাইক আথারটন (ইংল্যান্ডর সাবেক অধিনায়ক) সেদিন দারুণ এক কথা বলেছেন। এই অস্ট্রেলিয়া দল আসলেই অন্যরকম। আগে দেখা যেতো নিজেদের বক্ষ উদাম করে বোলিং করতাম আমরা, মোচ রাখতাম এবং যত জোরে সম্ভব বোলিং করার চেষ্টায় থাকতাম। তবে বর্তমান দলটা এত কঠিন নয়।'
লর্ডসে দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিনে ঘন্টায় ৯২ মাইল গতিতে ইংলিশ পেসার জোফরা আর্চারের একটি বাউন্সার আঘাত হানে ৩০ বছরের স্মিথের ঘাড়ে। প্রাথমিক পরীক্ষা নিরীক্ষায় উড়তে গিয়ে ফের ব্যাট হতে মাঠে নামেন। সংগ্রহ করেন ৯২ রান। কিন্তু শেষ দিন আর মাঠে নামেনি। লর্ডস টেস্টের পঞ্চম দিনে তার বদলি হিসেবে খেলেন মারনাস লাবুশেন।
দ্বিতীয় টেস্ট ড্র হলেও বিশ্বকাপ জয়ী ইংল্যান্ডের বিপক্ষে পাঁচ ম্যাচের অ্যাশেজ সিরিজে এখন ১-০ তে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। ২২ আগস্ট হেডিংলিতে শুরু হচ্ছে তৃতীয় টেস্ট।