নিজ মাঠ ওভালে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার দুর্বল রেকর্ড কাজে লাগিয়ে দ্বিতীয় টেস্ট জিতে সিরিজে সমতা আনতে চায় সফরকারী নিউজিল্যান্ড। দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ও শেষ টেস্ট আজ বৃহস্পতিবার (২২ আগস্ট) থেকে মুখোমুখি হচ্ছে শ্রীলঙ্কা-নিউজিল্যান্ড।
গত দশ বছরে ওভালের এ মাঠে শ্রীলঙ্কা সাতটি টেস্ট খেলেছে। এর মধ্যে একটিতে নিউজিল্যান্ডের কাছেসহ পাঁচটিতেই পরাজিত হয়েছে। সাত বছর আগে নিউজিল্যান্ডের কাছে ম্যাচটিতে পরাজিত হয়েছিল লঙ্কানরা। যে ম্যাচে কিউই পেসার টিম সাউদি ৮ এবং আরেক পেসার ট্রেন্ট বোল্ট শিকার করেছিলেন ৮ উইকেট।
বুধবার এক সংবাদ সম্মেলনে নিউজিল্যান্ড উইকেটরক্ষক বি জে ওয়াপরিং বলেন, ‘গত সফরে আমাদের কিছু সুখ-স্মৃতি আছে এবং আমরা ম্যাচটি জিতেছিলাম। ছেলেরা এখনো তাদের শিকার করা উইকেট নিয়ে আলোচনা করে এবং আমরা দুর্দান্ত কিছু ক্যাচ নিয়েছিলাম। সুখ-স্মৃতি থাকাটা সব সময়ের জন্যই ভালো। তবে এটা নতুন আরেকটি ম্যাচ, নতুন একটি দিন এবং আমাদের ভালো খেলতে হবে।’
প্রথম ম্যাচ ছয় উইকেটে জয়ী হয়েছে শ্রীলঙ্কা। তবে ব্যবধান যাই হোক ম্যাচটি ছিল প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। নিউজিল্যান্ড দলের ফিল্ডিং ব্যর্থতার কারণেই লঙ্কানরা ২৬৮ রানের বড় টার্গেট পেয়েও ম্যাচটি জিতে নিয়েছে স্বাগতিকরা।
গল টেস্টে ম্যাচ কর্মকর্তারা অফ স্পিনার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করায় এ ম্যাচে অফ স্পিনার আকিলা ধনঞ্জয়াকে পাচ্ছে না শ্রীলঙ্কা। গত বছর নভেম্বরে ধনঞ্জয়ার বোলিং অ্যাকশন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করা হয়। এরপর অ্যাকশন শুধরিয়ে খেলায় ফিরে সিরিজের প্রথম ম্যাচে তিনি পাঁচ উইকেট শিকার করেন।
কৌশলগতভাবে দ্বিতীয় টেস্টে তিনি খেলতে পারেন। তবে সেটা না করে এ সময়ে নিজের বোলিং অ্যাকশনের পরীক্ষা দিতে তিনি ভারত যেতে পারেন।
দ্বিতীয় ম্যাচ ও সিরিজ জিতলে আইসিসি টেস্ট র্যাংকিংয়ের পঞ্চম স্থানে ওঠে আসবে শ্রীলঙ্কা। দলের ভালো ক্রিকেট খেলার বিষয়ে আশাবাদী উইকেটরক্ষক নিরোশান ডিকবেলা।
তিনি বলেন, ‘বিশ্বের দুই নম্বর দলের বিপক্ষে আমরা জিততে চাই। এ ম্যাচটি হবে ভিন্ন ধর্মী এবং এখানে ফাস্ট বোলাররা গুরুত্বপূর্ন ভূমিকা পালন করবে। এটা একটা বড় চ্যালেঞ্জ। এক ম্যাচ জয়ের পর সিরিজ জয়ে আমাদের ভালো সম্ভাবনা আছে। গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে আমাদের ভালো সিদ্ধান্ত নিতে হবে।’