আজ যে রেকর্ড সৃষ্টি হচ্ছে, একদিন না একদিন তা ভাঙবেই। স্বাভাবিকভাবে এই হলো রেকর্ডের নিয়ম। তবে এমন কিছু রেকর্ডও আছে যা কোনোদিন ভাঙবে না। অ্যাশেজেও রয়েছে এমন কিছু রেকর্ড যা সহসা ভাঙবে না। অ্যাশেজের এমন ৫টি রেকর্ড দেখে নেয়া যাক-
শেন ওয়ার্নের উইকেট সংখ্যা: অ্যাশেজে সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকারি অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়ার্ন। ৩৬টি ম্যাচ খেলে থেকে ১৯৫ উইকেট শিকার করেছেন তিনি। ওয়ার্নের এই রেকর্ড ভাঙবে না এই কারণে যে, এটি ভাঙতে হলে একজন বোলারকে অন্তত আটটি অ্যাশেজ সিরিজে খেলতে হবে। আর বর্তমান যুগে পেস বোলাররা যে হারে ইনজুরিতে পড়ছেন, বিশ্বমানের স্পিনারের যে ঘাটতি এখন দেখা যাচ্ছে, তাতে এ রেকর্ড আদৌ ভাঙা হবে বলে মনে করা হয় না।
ডন ব্র্যাডম্যানের সেঞ্চুরির রেকর্ড: কিংবদন্তি ক্রিকেটার ব্র্যাডম্যানের ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৯ সেঞ্চুরির রেকর্ড রয়েছে। একটি টেস্ট দলের বিপক্ষে অ্যাশেজে তার ১৯টি সেঞ্চুরি এখনো বিশ্বসেরা রেকর্ড। যেটি ভাঙতে হলে বোলারদের চেয়েও বেশি সময় ধরে খেলা চালিয়ে যেতে হবে একজন ব্যাটসম্যানকে। যেটি বলতে গেলে প্রায় অসম্ভব।
একটি অ্যাশেজ টেস্টে দলগত সর্বোচ্চ সংগ্রহ : টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে শুধুমাত্র দুটি দল এক ইনিংসে ৯০০রান সংগ্রহ করেছিল। ১৯৩৮ সালে ইংল্যান্ড আর ১৯৯৭ সালে শ্রীলঙ্কা। বর্তমানে যে ভাবে ক্রিকেটের মান বেড়ে যাচ্ছে, এবং ফলাফল নির্ভর যে আধুনিক ক্রিকেটের প্রচলন ঘটেছে, তাতে এমন একটি সংগ্রহ দাঁড় করানোটা প্রায় অসম্ভব ব্যাপার। রানার চাকার গতি মোটামুটি রেখে কোনো দলকে ৯০০ রানের বেশি সংগ্রহ করতে হলে একটা দলকে অন্তত দুই দিন ব্যাট করতে হবে। আর যদি কোন দল টেস্ট বাঁচাতে খেলতে চায়, তাহলে ইংল্যান্ড বা অস্ট্রেলিয়া কেন অন্য কোন দলই দুই দিন ব্যাটিং করবে না। ফলে এই রান সংগ্রহও অসম্ভবই হয়ে থাকছে।
এক টেস্টে সর্বাধিক উইকেট শিকার: ১৯৫৬ সালে অ্যাশেজের ম্যানচেস্টার টেস্টে জিম লেকার ৯০ রানে ১৯ উইকেট শিকার করেছিলেন। এরপর দীর্ঘ ছয় যুগ পেরিয়ে গেলেও কোন বোলারই ১৬ উইকেটের বেশি সংগ্রহ করতে পারেনি। যে কারণে ইংলিশ তারকার রেকর্ডটি এখনো অক্ষত রয়েছে।
অ্যাশেজ টেস্টে সর্বোচ্চ রান: অ্যাশেজে ৩৭ ম্যাচে অংশ নিয়ে ব্র্যাডম্যানের সংগ্রহ ৫০২৮ রান। অন্য কোন ব্যাটসম্যানই ৪০০০ রানের বেশী যেতে পারেননি। সুতরাং এই রেকর্ডটিও অক্ষত হয়ে থাকবে।