অন্যের জন্য খোঁড়া গর্তে নিজেরাই ডুবলো দক্ষিণ আফ্রিকা। কেপ টাউনের নিউল্যান্ডসে ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের জন্য বাউন্সি উইকেট তৈরি করে নিজেরাই বিপদে পড়লেন। ভারতীয় বোলারদের সামনে মাত্র ১৩০ রানেই অলআউট হয়েছে প্রোটিয়ারা।
বৃষ্টির কারণে নিউল্যান্ডসের উইকেটের আচরণ পাল্টে যায়। ফলে দ্বিতীয় ইনিংসে ভারতীয় পেসারদের হাতে হাশিম আমলা-এবি ডি ভিলিয়ার্সরা দাঁড়াতেই পারেননি। অলআউট হয়েছে মাত্র ১৩০ রানে। ফলে ভারতের সামনে দ্বিতীয় ইনিংসে জয়ের জন্য লক্ষ্য এখন ২০৮ রান।
ভারতীয় পেসার ভুবনেশ্বর কুমার, জসপ্রিত বুমরাহ, মোহাম্মদ শামি এবং হার্দিক পান্ডিয়ার তোপের মুখে মুখ থুবড়ে পড়ে প্রোটিয়াদের শক্তিশালী ব্যাটিং লাইনআপ। তৃতীয় দিন বৃষ্টির কারণে খেলা হতে না পারা এবং সারাদিন বৃষ্টির কারণে উইকেটের চরিত্র পরিবর্তন হয়ে যাওয়ার কারণেই মূলতঃ ভারতীয় পেসাররা আগুন ঝরানোর অনুকুল পরিবেশ পেয়ে যায়।
শেষ পর্যন্ত এবি ডি ভিলিয়ার্স আশা প্রদীপ হয়েছিলেন ভারতীয় বোলারদের সামনে; কিন্তু ইনিংসের ৪২তম ওভারে সেই আশার প্রদীপকেও নিভিয়ে দেন জসপ্রিত বুমরাহ। অভিষেকেই বাজিমাত করে দিলেন বুমরাহ। তুলে নিলেন ৩ উইকেট। দুই ইনিংস মিলিয়ে ৪ উইকেট।
অধিনায়ক ফ্যাফ ডু প্লেসিসও মাঠে দাঁড়াতেই পারেনি। ৫ বল খেলে জসপ্রিত বুমরাহর বলে উইকেটের পেছনে ঋদ্ধিমান সাহার হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান তিনি। কুইন্টন ডি কককেও উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিতে বাধ্য করেন বুমরাহ। এরপর ভারনন ফিল্যান্ডারকে এলবির ফাঁদে ফেলেন মোহাম্মদ শামি।
প্রোটিয়াদের আশা হয়ে উইকেটে টিকে ছিলেন এবি ডি ভিলিয়ার্স; কিন্তু অপর পাশে একের পর এক সঙ্গী হারা হতে হতে বুমরাহর বলে পুল খেলতে যান ডি ভিলিয়ার্স। ৩৫ রান করে ফিরে যান তিনিও।
ভারতের সামনে দক্ষিণ আফ্রিকার মোট লিড দাঁড়িয়েছে ২০৭ রানের। জিততে হলে ভারতকে করতে হবে ২০৮ রান। প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা করেছিল ২৮৬ রান। জবাবে ভারত অলআউট হয়েছিল ২০৯ রানে। ৭৭ রানের লিড পেয়েছিল স্বাগতিকরা।