সদ্য নিষেধাজ্ঞামুক্ত হয়েছেন ডেভিড ওয়ার্নার। এরপরই নতুন বিতর্ক মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। তাকে নিষিদ্ধ না করলে টেস্ট বয়কটের হুমকি দিয়েছিলেন অস্ট্রেলিয়ার কয়েকজন ক্রিকেটার।
গেল বছর মার্চে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে কেপটাউন টেস্টে বল টেম্পারিং করেন ক্যামেরন ব্যানক্রফট। এতে মদত দেয়ায় স্টিভ স্মিথ ও ডেভিড ওয়ার্নারকে ১ বছর করে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নিষিদ্ধ করে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)। ব্যানক্রফটকেও ৯ মাসের নির্বাসন দেয় বোর্ড।
তবে নতুন বিতর্কটা ডেভিড ওয়ার্নারকে ঘিরে। অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম জানিয়েছে, সেই টেম্পারিংয়ের মূল হোতা ছিলেন এ বাঁহাতি বিধ্বংসী ওপেনার। তাকে নিষিদ্ধ না করলে ওই সিরিজে চতুর্থ টেস্টে না খেলতেন না অস্ট্রেলিয়ার চার ক্রিকেটার। মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, নাথান লায়ন ও জশ হ্যাজেলউড সেটি বয়কটের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।
তাদের হুমকির মুখে শেষ পর্যন্ত ওয়ার্নারকে নিষিদ্ধ করতে বাধ্য হয় সিএ। সদ্য নির্বাসন কাটিয়ে খেলায় ফিরেছেন তিনি। অপেক্ষার প্রহর গুনছেন অস্ট্রেলিয়া দলে ফেরার। তবে অজি ওপেনার ফিরলে ড্রেসিংরুমে বিভেদ বাড়তে পারে বলে অনেকে শঙ্কা করছেন।
কিন্তু ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার প্রধান কেভিন রবার্টস তুড়ি মেরে সেই শঙ্কা উড়িয়ে দিয়েছেন। তিনি বলেন, কাজের ক্ষেত্রে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব হয় না। সম্পর্কের ভিত্তিটা সম্মান হলেই ভালো।
স্মিথ-ওয়ার্নারের এখন অস্ট্রেলিয়া দলের হয়ে খেলতে কোনো বাঁধা নেই। আসন্ন ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে অজি দলে থাকাও তাদের সুনিশ্চিত। পাকিস্তানের বিপক্ষে চলমান ওয়ানডে সিরিজে আগে দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত ক্যাম্পেও ছিলেন তারা।
তবে তারা ক্যাম্প করার সময় সেখানে ছিলেন না টিম পেইন,মিচেল স্টার্ক ও জশ হ্যাজেলউড। ফলে শেষ পর্যন্ত শংকা থেকেই যাচ্ছে। কিন্তু বিষয়টিকে নেতিবাচক হিসেবে না দেখে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন সিএ প্রধান।