নিউজিল্যান্ডের ওয়েলিংটনে বৃষ্টির জন্য প্রথম দুই দিন মাঠে গড়াইন কোন বল। তৃতীয় দিনেও শেষ ২৫ ওভারও ভেসে গেলো বৃষ্টিতে। দ্বিতীয় দিন বৃষ্টির বাঁধায় খেলা বন্ধ ঘোষণা করার পর টাইগার কোচ স্টিভ রোডস জানিয়েছিলেন তিনদিনেও ম্যাচে ফল আসা সম্ভব।
ম্যাচের তৃতীয় দিন খেলা শুরু হওয়ার পর চতুর্থ দিন শেষে আসলেই ঘটতে যাচ্ছে তা। তবে সেটা বাংলাদেশের পক্ষে নয়, স্বাগতিকদের দিকে। চতুর্থ দিন শেষে ইনিংস পরাজয়ের শঙ্কায় টাইগাররা। স্বাগতিকদের নেয়ার ২২১ রানের লিডের জবাবে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ৮০ রান।
ইনিংস পরাজয় এড়াতেই এখনো প্রয়োজন ১৪১ রান, যা করে এগুতে হবে নিউজিল্যান্ডকে লক্ষ্য ছুঁড়ে দেয়ার দিকে। এজন্য হাতে রয়েছে ৭ উইকেট, মঙ্গলবার ম্যাচের পঞ্চমদিন খেলা হবে অন্তত ৯৮ ওভার। এই ৯৮ ওভারের মধ্যেই ম্যাচ বাঁচানোর কাজটা করতে হবে বাকি থাকা ব্যাটসম্যানদের।
আপাতদৃষ্টিতে ম্যাচ বাঁচানো বাংলাদেশের জন্য প্রায় অসম্ভব কাজ। বৃষ্টিস্নাত কন্ডিশন কাজে লাগিয়ে দুর্দান্ত বোলিং করছেন টিম সাউদি ও ট্রেন্ট বোল্টরা। তাদের বিপক্ষে পঞ্চম দিনে ৯৮ ওভার কাটিয়ে দেয়াটা বেশ দূরহ বটে।
তবু আশাবাদী দলের উদ্বোধনী ব্যাটসম্যান তামিম ইকবাল। তিনি নিজে ৪ রান করে সাজঘরে ফিরলেও ভরসা রাখছেন পরবর্তী ব্যাটসম্যানদের ওপর। দিনের খেলা শেষে তামিম বলেন, ‘হয়তো কঠিন, তবে ক্রিকেটে সবকিছুই সম্ভব। আমাদের হাতে এখনো ৭ উইকেট আছে এবং রিয়াদ ভাই ও লিটন ব্যাটিংয়ে নামবেন পরে। আমি মনে করি প্রথম সেশনে কোনো উইকেট না হারানো কিংবা সর্বোচ্চ ১টি উইকেট হারালে আমাদের কাজ সহজ হবে। তাই আমি মনে করি ম্যাচ বাঁচানো কঠিন তবে অসম্ভব নয়।’
এসময় বোলারদের অনুজ্জ্বল পারফরম্যান্সের ব্যাখ্যায় তামিম বলেন, ‘ইনিংসে বেশ কিছু ওভার ছিলো যেখানে আমাদের বোলাররা দারুণ বোলিং করেছে। আবার কিছু ওভার ছিলো যেখানে আশা পূরণ হয়নি। এগুলো আসলে অভিজ্ঞতার সঙ্গে আছে। দলের তিন পেসার কিন্তু একদমই নতুন। অথচ আমরা যাদের বিপক্ষে খেলছি তাদের দুইজনেরই আছে আড়াইশ টেস্ট উইকেট। এসব অভিজ্ঞতার মাধ্যমে আসে। আশা করছি তারা এই অভিজ্ঞতা থেকে শিখবে। তারা যদি শিখতে না পারে তাহলে সমস্যা হয়ে যাবে।’