নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যামিল্টন টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম ইনিংসে সৌম্য সরকার আউট হন মাত্র এক রান করে। অনেকের মনেই তখন প্রশ্ন, কেন টেস্ট একাদশে নেওয়া হয় সৌম্যকে? আগের তিন টেস্টে দুই অঙ্কের কোটায় পৌঁছাতে পারেনি তাঁর স্কোর।
একাদশে জায়গা পাওয়া নিয়ে বিতর্ক আর কিউইদের কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে দলের ব্যাটিংয়ের দুর্দশা, সব মিলিয়ে টালমাটাল অবস্থায় পড়ে যাওয়ার কথা বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের। কিন্তু টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম শতরান তুলে ১৪৯ রানের ঝকঝকে ইনিংস খেলা সৌম্য প্রমাণ করলেন, কেন দলে নেওয়া হয় তাঁকে।
প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি পাওয়া সৌম্য জানিয়েছেন, কী ছিল তাঁর পরিকল্পনা। পাশাপাশি নিউজিল্যান্ডের বোলিং আর ফিল্ডিং পরিকল্পনা তাঁকে অবাক করেছে, সেটাও জানিয়েছেন বাঁহাতি টপঅর্ডার ব্যাটসম্যান।
দলের বিপর্যয়ের মুখে টিকে থাকাটাই মুখ্য ছিল জানিয়ে বলেন, ‘আমি শুধু উইকেটে টিকে থাকতে চেয়েছিলাম। বিশাল রানে পিছিয়ে ছিলাম আমরা। তাড়াহুড়া করলে দল ও নিজের জন্য নেতিবাচক কিছু হতো। তবে উইকেটে একবার সেট হয়ে যাওয়ার পর বলের গুণাগুণ অনুযায়ী খেলতে চেয়েছিলাম। রিয়াদ ভাই পাশে থাকায় বেশ সুবিধা হয়েছে।’
ম্যাচে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের তাক করে টানা বাউন্সার ছুড়েছেন কিউই বোলাররা। নিজেদের অভ্যস্ত কন্ডিশনে গুড লেন্থের একটু পেছন থেকে বেশ ভালো বাউন্স আদায় করেছেন নিল ওয়াগনার, ট্রেন্ট বোল্টরা। পাশাপাশি বেশ ব্যতিক্রমী ফিল্ডিংও সাজায় কেন উইলিয়ামসনের দল। ফাইন লেগের ফিল্ডারকে প্রায় উইকেটরক্ষকের পেছনে নিয়ে আসেন উইলিয়ামসন। সৌম্যকে তাই এদিক-সেদিক করে মানিয়ে খেলতে হয়েছে।
কিউইদের বোলিং আক্রমণ নিয়ে বাঁহাতি ব্যাটসম্যান বলেন, ‘এমন ধরনের বোলিং আক্রমণের বিপক্ষে আগে কখনো খেলা হয়নি আমার। ব্যাক অফ লেন্থ থেকে খুব ভালো বাউন্স পাচ্ছিল ওরা। আর ফিল্ডিং সাজিয়েছিল একেবারেই প্রথার বাইরে। এর আগে এমন অভিজ্ঞতা হয়নি।’
বাউন্সার শেষ পর্যন্ত কুপোকাত করতে পারেনি তাঁকে। নিজস্ব উদ্ভাবনী দিয়ে নস্যাৎ করেছেন নিউজিল্যান্ডের পরিকল্পনা, মেরেছেন ২১টি চার ও পাঁচটি ছক্কা। সে সময় নিজের চিন্তা কী ছিল জানিয়ে সৌম্য বলেন, ‘আমি একটু পেছনে গিয়ে খেলতে চেয়েছি। ওদের পেস আর বাউন্স উল্টো নিজের পক্ষে কাজে লাগাতে চেয়েছি। আর কিছুক্ষণ খেলতে পারলে অন্তত দ্বিতীয়বার ওদের ব্যাট করতে নামাতে পারতাম।’