সৌম্য-মাহমুদউল্লাহ তুলে নিলেন সেঞ্চুরির আর বাকীদের দেখা গেলো শুধু দায়িত্বহীন। ফলে ৫১ রান ও ইনিংস ব্যাবধানে হারল বাংলাদেশ। দুর্দান্ত জয়ে তিন ম্যাচ সিরিজে ১-০তে এগিয়ে গেল নিউজিল্যান্ড।
আগের দিনের ৪ উইকেটে ১৭৪ রান নিয়ে চতুর্থ দিন খেলতে নামে বাংলাদেশ। সৌম্য ৩৯ ও মাহমুদউল্লাহ ১৫ রান নিয়ে খেলা শুরু করেন। এদিন শুরু থেকেই সাবলীল ছিলেন তারা। বলের গুণাগুণ বজায় রেখে ব্যাট চালান দুজনে। বোঝাপড়া তৈরি হলে জমাট বাঁধে তাদের জুটি। গড়ে ওঠে অসাধারণ মেলবন্ধন।
পথিমধ্যে ফিফটি তুলে নেন সৌম্য। যেন পণ করেছিলেন নিজেকে ছাড়িয়ে যাবেন। দুর্দান্ত টাইমিং আর রিফ্লেক্সে খেলেন অনন্য সব ক্রিকেটীয় ও উদ্ভাবনী শট। এগিয়ে যান সেঞ্চুরির পথে। মাঝে চরম ধৈর্যের পরিচয় দিয়ে হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন মাহমুদউল্লাহও।
স্বভাবজাত খেলে ৯৪ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথম সেঞ্চুরি তুলে নেন সৌম্য। এটি বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরির রেকর্ড। অবশ্য যৌথভাবে। ২০১০ সালে লর্ডসে ৯৪ বলে সেঞ্চুরি করে রেকর্ডটি এতদিন একার ছিল তামিম ইকবালের। তার পর সেঞ্চুরির পথে থাকেন মাহমুদউল্লাহ। এতে নিউজিল্যান্ডকে সমুচিত জবাব দিতে থাকে টাইগাররা।
তিন অংকের ম্যাজিক ফিগার স্পর্শ করে লম্বা ইনিংসের পথে এগিয়ে যান সৌম্য। মনে হচ্ছিল, দেড়শ ছোঁয়া সময়ের ব্যাপর। তবে হঠাৎই খেই হারান তিনি। ট্রেন্ট বোলের বলে সরাসরি বোল্ড হয়ে সাজঘরের পথ ধরেন সৌম্য। ফেরার আগে খেলেন ক্যারিয়ারসেরা ১৪৯ রানের বীরোচিত ইনিংস। ২১ চার ও ৫ ছক্কায় এ ইনিংস সাজান বাঁহাতি টপঅর্ডার। এতে ভাঙে ২৩৫ রানের জুটি।
পরক্ষণেই টেস্ট ক্যারিয়ারে চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নেন মাহমুদউল্লাহ। তবে তাকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি লিটন দাস। বোল্টের বলে সোজা বোল্ড হয়ে ফেরেন তিনি।
এতে পথ হারায় বাংলাদেশ। এর জের না কাটতেই নিল ওয়েগনারের বলে জিত রাভালকে ক্যাচ তুলে দেন শেষ স্বীকৃত ব্যাটসম্যান মেহেদী হাসান মিরাজ। পরে মাহমুদউল্লাহকে সমর্থন জোগানোর চেষ্টা করেন আবু জায়েদ রাহী। তবে ব্যর্থ হন তিনি। বোল্টের বলে বোল্ড হয়ে ফেরেন এ লোয়ারঅর্ডার।