নিউজিল্যান্ডের সফরে ভালো নেই বাংলাদেশ দল। ওয়ানডে সিরিজ শেষে এখন মুখোমুখি হচ্ছে টেস্ট সিরিজে। তবে দলে নেই নিয়মিত অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। ইনজুরির কারণে এখনো অনিশ্চিত মুশফিকুর রহিম।
এদিকে নিউজিল্যান্ড কন্ডিশনে সবসময়ই ফাস্ট বোলারদের অনুকূলে থাকে। স্পিনাররা তেমন সুবিধা করতে পারেন না। ফলে ব্ল্যাকক্যাপসদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বোলিংয়ের দায়িত্বটা ফাস্ট বোলারদেরই নিতে হবে। ঠিক তেমনটাই জানিয়ে দিলেন টাইগারদের পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ।
স্কোয়াডে ফাস্ট বোলার রয়েছেন চারজন। তাদের মধ্যে এখনো অভিষেক হয়নি এবাদত হোসেন চৌধুরীর। বাকি তিন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান, সৈয়দ খালেদ আহমেদ এবং আবু জায়েদ রাহী। তারা সবাই মিলে খেলেছেন ১৬টি টেস্ট ম্যাচ।
ক্যারিবীয়ান কিংবদন্তি বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশের মতে নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে স্রেফ ধারাবাহিকভাবে এক জায়গায় বোলিং করতে পারলেও মিলবে সাফল্য। একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচ শেষে ওয়ালশ বলেন, ‘আমার বার্তা একটাই, ধারাবাহিকতা, ধারাবাহিকভাবে ভালো জায়গায় যতো বেশি সম্ভব বোলিং করা যায়। আমরা এটি নিয়ে অনুশীলনে অনেক কাজ করেছি। তবে হতাশার ব্যাপার হলো বৃষ্টির কারণে প্রস্তুতি ম্যাচে দেখা হলো না বোলাররা কতোটা কাজে লাগাতে পারছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানের কন্ডিশন একদমই স্পিন সহায়ক নয়। তাই এটাই মূলত সুযোগ পেসারদের জন্য, কিছু করে দেখানোর এবং নিজেদের প্রতিষ্ঠা করার। যা পরে বাংলাদেশের জন্যও ভালো ফল বয়ে আনবে।’
প্রস্তুতি ম্যাচে বোলাররা যথাযথ বোলিং করতে না পারায় আক্ষেপ করেন ওয়ালশ। বলেন, ‘আমরা জানতাম যে বৃষ্টি হবে। তাই আমাদের চেষ্টা ছিল অনুশীলনেই সব গুছিয়ে নেয়ার। তবু ম্যাচে দুইটি ভালো স্পেল অনুশীলনের চেয়েও বেশি কার্যকর। আমরা হতাশ যে সুযোগটা পেলাম না।’
উল্লেখ্য, টেস্ট সিরিজ আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে টাইগার ব্যাটসম্যানরা রান করতে পারলেও দ্বিতীয় দিন বৃষ্টির কারণে বোলার বোলিং করতে পারেননি। তার আগেই ম্যাচ ড্র ঘোষণা করেছে আম্পায়াররা।