প্রথম টেস্টে চার দিনের মধ্যেই ৩৮১ রানে পরাজিত হওয়া প্রথম টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের করা ২৪৬ রানের জবাবে প্রথম ইনিংসে মাত্র ৭৭ রানে অলআউট হয়ে যায় সফরকারী ইংল্যান্ড। যেখানে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ছিল ১৭ রানের। অতীতেও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে গিয়ে সুবিধা করতে পারেনি ইংলিশরা। দ্বিতীয় টেস্টের প্রথম দিনেও ইংল্যান্ডের একই রূপ দেখা গেলো।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে অ্যান্টিগা টেস্টের প্রথম দিন ১৮৭ রানে অলআউট হয়ে গেছে ইংল্যান্ড। দিন শেষে ব্যাট হাতে নেমে নিজেদের প্রথম ইনিংসে বিনা উইকেটে ৩০ রান করেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফলে ১০ উইকেট হাতে নিয়ে ১৫৭ রানে পিছিয়ে ক্যারিবীয়রা।
সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে টস জিতে ফিল্ডিং বেছে নেয় ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ব্যাট হাতে নেমে ইনিংসের শুরু থেকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বোলারদের তোপের মুখে পড়ে ইংল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা। নিয়মিত বিরতি দিয়ে উইকেট হারাতে থাকে তারা। ৯৩ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে বেকাদায় পড়ে যায় ইংল্যান্ড। এরমাঝেও লড়াই করার চেষ্টা করেছিলেন জনি বেয়ারস্টো ও মঈন আলী। দু’জনই হাফ-সেঞ্চুরি তুলে ফিরেন। বেয়ারস্টো ৫২ ও মঈন ৬০ রান করেন। এছাড়া উইকেটরক্ষক বেন ফোকস ৩৫ ও বেন স্টোকস ১৪ রান করে থামেন। আর কোন ব্যাটসম্যানই দু’অংকের কোটা পেরোতে পারেননি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কেমার রোচ ৪টি ও শ্যানন গাব্রিয়েল ৩টি উইকেট নেন।
দিনের শেষে ব্যাট হাতে নেমে ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট ১১ ও জন ক্যাম্পবেল ১৬ রানে অপরাজিত আছেন।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ইংলিশ ব্যাটসম্যানদের ‘সাহস ও সংকল্পের’ অভাব আছে বলে মনে করেন ইংল্যান্ড কোচ ট্রেভর বেলিস। প্রথম টেস্টে শোচনীয়ভাবে হারার পর কোচ ট্রেভর বেলিস বলেছিলেন, কঠিন সময়ে সাহস ও সংকল্পের অভাবে এমনটা হয়েছে। প্রতিবারই দেখা গেছে আমাদের একটা উইকেট পতন হলেই বিপর্যয় শুরু হয়। একটা উইকেট পড়ে গেলে কিংবা অষ্টম-নবম উইকেট পড়ে গেলে কিভাবে পার্টনারশীপ গড়তে হয় সে বিষয়ে আমাদের কাজ করতে হবে।