যে উইকেটে মাত্র ৭৭ রান তুলতেই অলআউট ইংল্যান্ড, সেখানেই কীনা অনায়াসে রান করলেন জেসন হোল্ডার। আট নম্বরে নেমে করলেন ডাবল সেঞ্চুরি। নিজেকে নিয়ে গেলেন অনন্য এক উচ্চতায়। রেকর্ডের পাতায় উঠে গেল ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়কের এই কীর্তি।
দেড় শতাব্দী পুরনো টেস্ট ইতিহাস জানাচ্ছে-মাত্র তৃতীয় ব্যাটসম্যান হিসেবে আট নম্বরে নেমে ডাবল সেঞ্চুরি পেলেন হোল্ডার। একইসঙ্গে সতীর্থ শন ডাওরিচের সঙ্গে গড়লেন তিনশর কাছাকাছি জুটি। বারবাডোজ টেস্টে ইংলিশদের বিপক্ষে এখন রাজত্ব ক্যারিবীয়দেরই। ৬ উইকেটে ৪১৫ রানে ২য় ইনিংস ঘোষণা করেছে স্বাগতিকরা। ৬২৮ রানের টার্গেটে নেমে শুক্রবার তৃতীয় দিন ইংল্যান্ডের সংগ্রহ কোন উইকেট না হারিয়ে ৫৬।
ইংলিশদের চটজলদি অলআউট করে চাপে পড়েছিল উইন্ডিজও। ১২০ রানে শেষ ৬ উইকেট! তখনই জুটি গড়ে দৃশ্যপট পাল্টে দেন হোল্ডার ও ডাওরিচ। দুজন অবিচ্ছিন্ন থেকে গড়নেন ২৯৫ রানের জুটি। যা কীনা সপ্তম উইকেটে সর্বকালের তৃতীয় সর্বোচ্চ সংগ্রহ।
এই দুই ব্যাটসম্যানকে আটকানোর কৌশল যেন জানা ছিল না ইংলিশদের। ৬০ বলে হাফসেঞ্চুরি তুলেন হোল্ডার। ৯৯ বলে শতরান! একবারে ওয়ানডে স্টাইলে পেয়ে যান টেস্ট ক্যারিয়ারের তৃতীয় শতক!
তবে ডাওরিচ খেলেছেন দেখে-শুনে। শতরান করেন ১৯৮ বলে। মজার ব্যাপার হলো এটি তারই তৃতীয় সেঞ্চুরি। হোল্ডার ২২৯ বলে তুলেন নেন ডাবলসেঞ্চুরি। যা কীনা দেশটির ইতিহাসে টেস্টে দ্রুততম ডাবল সেঞ্চুরির রেকর্ড।
দ্বিতীয় ইনিংসে ছয় কিংবা তার পরে ব্যাট করতে নেমে ‘ডাবল’ সেঞ্চুরি করার একমাত্র রেকর্ড স্যার ডন ব্র্যাডম্যানের। এবার অজি সেই কিংবদন্তিকে ছুঁয়ে ফেললেন হোল্ডার।
১৯৩৭ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ৭ নম্বরে নেমে ২৭০ রান করেন স্যার ডন। সব মিলিয়ে আটে কিংবা তার নিচে ব্যাট করতে নেমে হোল্ডারের আগে ডাবল সেঞ্চুরির দেখা পেয়েছেন ওয়াসিম আকরাম। ১৯৯৬ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে করেন ২৫৭। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আরেক পাকিস্তানি ইমতিয়াজ আহমেদ ২০৯ করেন ১৯৫৫ সালে।
শেষ অব্দি হোল্ডার ২২৯ বলে ২০২ রানে অপরাজিত থাকেন। তার ইনিংসে ছিল ২৩টি চার আর ছক্কা ৮টি। ডাওরিচ ১১৬ অপরাজিত। খেলেন ২২৪ বল।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১ম ইনিংস: ২৮৯/১০
ইংল্যান্ড ১ম ইনিংস: ৭৭/১০
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ২য় ইনিংস: ১০৩.১ ওভারে ৪১৫/৬ (ডি.) (ডাওরিচ ১১৬*, হোল্ডার ২০২*; অ্যান্ডারস ০/৫৮, কারান ১/৬৯, মইন ৩/৭৮, স্টোকস ২/৮১)।
ইংল্যান্ড ২য় ইনিংস: (লক্ষ্য ৬২৮) ২০ ওভারে ৫৬/০ (বার্নস ৩৯*, জেনিংস ১১*; রোচ ০/১৬, গ্যাব্রিয়েল ০/১০)।