বিশ্ব টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অবস্থান যেখানে অষ্টম স্থানে সেখানে ইংল্যান্ড হয়তবা তৃতীয় স্থানে থেকে এগিয়ে থাকতে পারে। কিন্তু বুধবার থেকে বার্বডোসে শুরু হওয়া তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজে আগে সফরকারী জো রুটের ইংল্যান্ড অতীত রেকর্ডে মোটেই স্বস্তিতে নেই।
গত ৫২ বছরে ক্যারিবীয়ান মাটিতে মাত্র দুটি ইংল্যান্ড দল টেস্ট সিরিজ জয়ের মধুর অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।
১৯৬৭/৬৮ : ওয়েস্ট ০ ইংল্যান্ড ১ (পাঁচ ম্যাচ সিরিজ) :
এই সিরিজে ত্রিনিদাদে অনুষ্ঠিত চুতর্থ টেস্টে ইংল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী হয়ে সিরিজে এগিয়ে গিয়েছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক গ্যারি সোবার্সের সাহসী সিদ্ধান্তে ইনিংস ঘোষনা দেবার পর ইংল্যান্ডের হাতে জয়ের জন্য ২১৫ রান প্রয়োজন ছিল। ইংলিশ অধিনায়ক কোলিন কাউড্রি প্রথম ইনিংসে ১৪৮ রান করার পর দ্বিতীয় ইনিংসে করেন ৭১ রান। ওপেনার জিওফ বয়কট ৮০ রানে অপরাজিত ছিলেন।
গায়ানায় অনুষ্ঠিত পঞ্চম টেস্ট আরেকটি নাটকীয়তার জন্ম দেয়। ৯ উইকেট হারিয়ে ইংল্যান্ডের ১১ নম্বরে ব্যাটিংয়ে নামা জেফ জোনস শেষ ওভার পর্যন্ত টিকে থেকে ম্যাচটি ড্রয়ে সহযোগিতা করেন। একইসাথে সিরিজ নিশ্চিত হয় সফরকারী ইংল্যান্ডের।
২০০৩-০৪ : ওয়েস্ট ইন্ডিজ ০ ইংল্যান্ড ৩ (চার ম্যাচ সিরিজ) :
জ্যামাইকায় অনুষ্ঠিত প্রথম টেস্টে ১০ উইকেটে জয়ী হয়ে দারুনভাবে সিরিজ শুরু করে ইংল্যান্ড। এরপর তাদেরকে আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। ফাস্ট বোলার স্টিফেন হার্মিসনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে স্বাগতিকরা দ্বিতীয় ইনিংসে মাত্র ৪৭ রানে গুটিয়ে যায়। হার্মিসন ১২.৩ ওভারে ১২ রানে সাত উইকেট দখল করেছিলেন।
ত্রিনিদান ও বার্বাডোসের বড় জয়ের পর এন্টিগাতে আর পেরে উঠেনি ইংল্যান্ড। যে কারনে প্রথমবারের মত ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে স্বাগতিকদের হোয়াইট ওয়াশও করতে পারেনি ইংলিশরা।
এই সিরিজেই শেষ টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের অধিনায়ক ব্রায়ান লারা এক ইনিংসে ৪০০ রানে অপরাজিত ইনিংস খেলে টেস্ট ক্রিকেটের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের রেকর্ড গড়েন। ইংলিশ অধিনায়ক মাইকেল ভনের অসাধারণ ১৪০ রানে ইনিংসে শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ড্র হয়।