মাশরাফি বিন মুর্তজা, বাংলাদেশ ক্রিকেটের এক উজ্জ্বল নক্ষত্রের নাম। নিত্য সঙ্গী ইনজুরিকে যিনি কোন পরোয়া করেন না, ইনজুরিকে সাথে নিয়েই খেলে চলছেন এই নড়াইল এক্সপ্রেস। সম্প্রতি ক্রিকেটের ছোট পরিসর টি-টোয়েন্টির আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলা থেকে নিজেকে সরিয়ে নিয়েছেন তিনি। সাদা পোশাকে টেস্ট ম্যাচ থেকে তো আরও আগে ইনজুরি তাকে সরিয়ে দিয়েছে।
দেশের হয়ে শেষবার সাদা পোশাকে টেস্টে খেলেছেন ৮ বছর আগে, ২০০৯ সালে। ওই বছরের জুলাইয়ে কিংসটাউনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্টে চোট পেয়ে মাঠ ছাড়েন মাশরাফি। এরপর আর সাদা পোশাকে কোন টেস্ট ম্যাচে দেখা যায়নি তাকে।
দুই হাঁটুর অস্ত্রোপচারের কারণে টেস্ট খেলার স্বপ্নটাকে রীতিমতো জলাঞ্জলিই দিতে হয়েছে। তবে বাংলাদেশের ওয়ানডে অধিনায়ক এখনো স্বপ্ন দেখেন টেস্ট খেলার। সাদা পোশাকে লাল কিংবা গোলাপি বল হাতে প্রতিপক্ষের ব্যাটসম্যানের বুকে কাঁপুনি ধরানোর।
এমনটাই জানিয়েছেন মাশরাফি বিন মুর্তজা। ক্রিকবাজকে মাশরাফি বলেছেন, ‘প্রত্যেক ক্রিকেটারই টেস্ট খেলার জন্য মুখিয়ে থাকে। যদিও আমার বয়স ৩৪ হয়ে গেছে, তারপরও আমি এখনো স্বপ্ন দেখি সাদা পোশাকে মাঠে নামার। তবে আমাকে সবকিছু ভেবে দেখতে হবে।’
সতীর্থদের কাঁধে ভর করে বেশ কয়েকবারই এভাবে মাঠ ছেড়েছেন মাশরাফি
তিনি আরও বলেন, ‘কবে ফিরব, সেটি নির্দিষ্ট করে বলা মশকিল। তবে সবকিছু ঠিকঠাক চললে টেস্টে ফেরার চেষ্টা করবই।’
সাম্প্রতি নিজের ফিটনেসের উন্নতিটাই তাকে টেস্ট খেলার স্বপ্ন দেখাচ্ছে বলে জানান। বলেন, ‘ফিটনেসে উন্নতিটা ভালোই করেছি। এটিই আমাকে আশা দেখাচ্ছে। এখন আমি ফিটনেসের আরও উন্নতি ঘটাতে চাই। দেখতে চাই কতটা উন্নতি করতে পারি। যদি প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলে নিজের খেলার উন্নতি করতে পারি, তাহলে টেস্টে ফিরব না কেন?’
দুই হাঁটুতে একাধিকবার অস্ত্রোপচার করে বিপিএল ও জাতীয় দলের জার্সি গায়ে ওয়ানডে ক্রিকেটে বাংলাদেশের নেতৃত্ব দিলেও টেস্ট ম্যাচ খেলা মাশরাফির জন্য কতটা সমোচিত হবে তা হয়তো সময়ই বলে দেবে। কারণ, বাংলাদেশ ক্রিকেটের এ এক্সপ্রেস আবারও মাঠে ইনজুরির আক্রান্ত হোক তা কারো প্রত্যাশা নয়।
উল্লেখ্য, ২০০১ সালের নভেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে অভিষেকের পর ২০০৯ পর্যন্ত ৩৬টি টেস্ট খেলেছেন তিনি। ৪১.৫২ গড়ে তাঁর উইকেট-সংখ্যা ৭৮।