দক্ষিন আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্টে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা এড়ানো জন্য শেষ দুই দিনে পাকিস্তানের দরকার ছিল ২২৮ রান। হাতে ছিল সাত উইকেট। কিন্তু দক্ষিন আফ্রিকার বোলাদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের কারণে 'তাসের ঘরের' মতো পাকিস্তান উইকেট হারাতে থাকে। ফলে হোয়াইটওয়াশের লজ্জা নিয়ে টেস্ট সিরিজ শেষ করতো হলো সরফরাজ আহমেদের।
সিরিজের তৃতীয় ও শেষ টেস্টটি ১০৭ রানে জিতল দক্ষিণ আফ্রিকা। সব মিলিয়ে ৩-০ ব্যবধানে টেস্ট সিরিজ জিতে নিয়েছে প্রোটিয়ারা।
অবশ্য জোহানেসবার্গে শুরুটাই বাজে ছিল পাকিস্তানের। এরপর আর ঘুরে দাঁড়ানো হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকা ১ম ইনিংসে ২৬২ রান তুললেও সফরকারীরা অলআউট ১৮৫ রানে। তারপর স্বাগতিকরা তুলে ৩০৩। জিততে সরফরাজদের সামনে দাঁড়ায় ৩৮১ রানের বড় লক্ষ্য। অবশ্য সেই চ্যালেঞ্জে বেশ ভালই লড়ছিল। ৩ উইকেটে ১৫৩ রান তুলে জবাব দিচ্ছিল পাকিস্তান। কিন্তু কে জানতো সেই ইনিংসটাই শেষ হয়ে যাবে ২৭৩ রানে!
বড় লক্ষ্যের সামনে টেস্ট ড্রয়ের সুযোগ ছিল না। কারণ হাতে ছিল দুই দিন। সোমবার চতুর্থ দিনে এ কারণেই আক্রমনাত্মক ক্রিকেটই বেছে নেয় সরফরাজ আহমেদের দল। আসাদ শফিক ৪৮ ও বাবর আজম ১৭ রান নিয়ে শুরু করেন। কিন্তু দিনের শুরুতেই বাবর আজমকে (২১) সাজঘরের পথ দেখিয়ে দেন ডোয়াইন অলিভিয়ের। এরপরই সরফরাজ আহমেদকে (০) তিনিই বিদায় করলে মহা বিপর্যয়ে পড়ে পাকিস্তান।
সেই ধাক্কা আর সামলে উঠা হয়নি। এর মধ্যে আসাদ শফিক তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। তিনি শুধু হারের ব্যবধানটাই কমাতে পেরেছেন। শেষ অব্দি ৬৫ রানে ফিরেন আসাদ। তারপর সাত নম্বরে নেমে যা একটু লড়লেন শাদাব খান। অন্য প্রান্তে নিয়মিত উইকেট হারিয়েছে সফরকারীরা। ১১০ বলে ৪৭ রানে অপরাজিত ছিলেন শাদাব।
দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তিনটি করে উইকেট শিকার করেছেন ভারনন ফিলেন্ডার ও ডোয়াইন অলিভিয়ের। ডেল স্টেইনের শিকার দুই উইকেট। তিন ম্যাচ সিরিজে দুর্দান্ত বোলিং করে সিরিজসেরা অলিভিয়ের। সেঞ্চুরিয়ান কুইন্টন ডি ককের জোহানেসবার্গ টেস্টের ম্যাচসেরা।
সোমবার পাকিস্তানকে হোয়াইটওয়াশ করে সুখবরই পেল দক্ষিণ আফ্রিকা। টেস্ট র্যাংকিংয়ে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে প্রোটিয়ারা। সাতে নেমে গেল পাকিস্তান।