দেশের মাটিতে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ফেরাতে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি) বিভিন্ন দেশে ধরনা দিয়েও প্রথম সারির দলগুলোকে নিতে পারছে না তাদের দেশে। পাকিস্তানের মাটিতে দীর্ঘ দিনের প্রত্যাশিত অস্ট্রেলিয়ার সফর অবশেষে বাতিল হয়ে গেল। নিরাপত্তা জনিত কারণে পাকিস্তানে আপাতত অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট দল যাচ্ছে না বলে জানিয়েছে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া (সিএ)।
ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার একজন মূখপাত্র সংবাদমাধ্যমে বলেন, আমরা চাই পাকিস্তানে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট ম্যাচ ফিরে আসুক। কারণ সে দেশের মানুষ ক্রিকেট ভালোবাসে। কিন্তু আমাদের নিজেদের খেলোয়াড়দেরও নিরাপত্তার বিষয়টি ভাবতে হচ্ছে। তাই আপতত আমরা পাকিস্তান সফর করছি না।
তিনি আরো বলেন, আপতত সংযুক্ত আরব আমিরাতে (যেটি এখন পাকিস্তানের ঘরের মাঠ হিসেবে ধরা হয়) খেলার কথা ভাবছি না। তবে আমাদের পক্ষ থেকে এখনও পাকিস্তানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যালোচনা করা হচ্ছে।
২০০৯ সালে পাকিস্তানে খেলতে যায় শ্রীলঙ্কা ক্রিকটে দল। লাহোরে হোটেল থেকে গাদাফি স্টেডিয়ামে ম্যাচের জন্য কয়েকটি বাসে করে রওয়ানা হয় সফরকারী শ্রীলঙ্কান দল এবং ম্যাচ পরিচালনার জন্য বিদেশ থেকে লোকজন। এসময় ১২ জন বন্দুকধারী ঐ ক্রিকেট কনভয়ের জন্য ওঁত পেতে ছিলো। গাদাফি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের কাছে মোড়ে গাড়িগুলো পৌঁছুনোর সাথে সাথে গুলি করে জঙ্গিররা।
এর ঘটনার পর দেশে পাকিস্তানে দিকে মুখ ফিরিয়ে নেয় টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলো। তবে গত বছর লাহরো সফল ভাবে পাকিস্তান-আইসিসি বেস্ট ইলেভেনের খেলা অনুষ্ঠিত হয়। পরে ২০১৮ সালে পাকিস্তানে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে একটি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হয়। গেল বছর এপ্রিলে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে পাকিস্তান টি-টোয়েন্টির তিন ম্যাচ সিরিজ খেলে করাচিতে।
প্রসঙ্গত, পাকিস্তানের মাটিতে এবছরের মার্চে অস্ট্রেলিয়ার ৫টি ওয়ানডে ম্যাচ খেলার কথা ছিল। তবে অস্ট্রেলিয়া সিরিজ বাতিল করায় মার্চে পাকিস্তান বনাম অস্ট্রেলিয়ার খেলাটি সেদেশের দর্শক উপভোগ করতে পারছেন না। ১৯৯৮ সালের পরে আর কখনও অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দল পাকিস্তানে সফর করেনি। শেষ যখন অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পাকিস্তান তিনটি ওয়ানডে ও টেস্ট ম্যাচ খেলেছিলো তখন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ছিলেন মার্ক টেলর।