অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথের ডাবল ও শর্ন মাশের সেঞ্চুরিতে অ্যাশেজ সিরিজে পার্থ টেস্টেও ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে লিড নিল স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া।
স্মিথের অপরাজিত ২২৯ ও মার্শের অপরাজিত ১৮১ রানের সুবাদে ৪ উইকেটে ৫৪৯ রান নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করেছে অসিরা। তাদের ব্যাটিং নৈপুণ্যে ৬ উইকেট হাতে নিয়ে ১৪৬ রানে এগিয়ে অস্ট্রেলিয়া। প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের সংগ্রহ ৪০৩ রান।
তিন উইকেটে ২০৩ রান তুলে দ্বিতীয় দিন শেষ করেছিল অস্ট্রেলিয়া। দ্বিতীয় দিন শেষে ৯২ রানে অপরাজিত ছিলেন স্মিথ। তার সঙ্গী মার্শের সংগ্রহ ছিল ৭ রান। তৃতীয় দিন শক্ত হাতে ইংল্যান্ডের বোলারদের মোকাবেলা করেছেন স্মিথ ও মার্শ। তাই এই জুটিকে বিচ্ছিন্ন করতে মরিয়া ছিল ইংল্যান্ডের বোলাররা।
কিন্তু তাদের কোন প্রকার পাত্তা না দিয়ে টেস্ট ক্যারিয়ারের ২২তম সেঞ্চুরি তুলে নেন স্মিথ। দলনেতার পথে হেটে টেস্ট ক্যারিয়ারের পঞ্চম সেঞ্চুরির স্বাদ নেন মার্শ। গত টেস্টের প্রথম ইনিংসেও সেঞ্চুরি করেছিলেন মার্শ।
তিন অংকের পা দিয়েও দলের রান চাকা ঘুরাচ্ছিলেন স্মিথ ও মার্শ। তাই এক পর্যায়ে প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের রানকে টপকে লিড নেয় অস্ট্রেলিয়া। চা-বিরতির পর টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন স্মিথ।
ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হলেও অধিনায়ক হিসেবে প্রথম ডাবল-সেঞ্চুরির স্বাদ নিলেন স্মিথ। ক্যারিয়ারের দু’টি ডাবল-সেঞ্চুরিই স্মিথ পেয়েছেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে।
২০১৫ সালে লর্ডসে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম ডাবল-সেঞ্চুরি পান তিনি। ঐ ইনিংসে ২১৫ রান করেন স্মিথ। অবশ্য আজ (শনিবার) ঐ ইনিংসকে ছাড়িয়ে ক্যারিয়ার সেরা স্কোরই গড়েছেন তিনিই।
২৮টি চার ও ১টি ছক্কায় ৩৯০ বলে ২২৯ রানে অপরাজিত আছেন স্মিথ। এই ইনিংস খেলার পথে ৬ ঘণ্টা ৩০ মিনিট ক্রিজে ছিলেন তিনি। এছাড়া এ বছর ১’হাজার রানও পূর্ণ করেছেন স্মিথ। টানা চার বছর ১ হাজার রান পূর্ণ করা দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান তিনি।
স্মিথের মত ডাবল-সেঞ্চুরির প্রত্যাশায় আছেন মার্শও। ২৯টি চারে ২৩৪ বলে ১৮১ রানে অপরাজিত আছেন তিনি। পঞ্চম উইকেটে এই জুটি ৩০১ রান যোগ করেছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ইংল্যান্ড : ৪০৩/১০, ১১৫.১ ওভার (মালান ১৪০, বোয়ারস্টো ১১৯, স্টার্ক /৯১)।
অস্ট্রেলিয়া : ৫৪৯/৪, ১৫২ ওভার (স্মিথ ২২৯*, মার্শ ১৮১*, ওভারটন ২/১০২)।