তৃতীয় দিন শেষে সিডনি টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে চাপে রেখেছে সফরকারী ভারত। ভারতের ৭ উইকেটে ৬২২ রানের জবাবে নিজেদের প্রথম ইনিংসে তৃতীয় দিন শেষে ৬ উইকেটে ২৩৬ রান করেছে অস্ট্রেলিয়া।
ফলে ৪ উইকেট হাতে নিয়ে ৩৮৬ রানে পিছিয়ে অসিরা। ফলো-অন এড়াতে আরও ১৮৬ রান করতে হবে অস্ট্রেলিয়াকে।
এর আগে দ্বিতীয় দিনের শেষ ভাগে ব্যাট হাতে নেমে ১০ ওভারে বিনা উইকেটে ২৪ রান করেছিলো অস্ট্রেলিয়া। তৃতীয় দিন সকালেও ব্যাট হাতে ভালোই করছিলেন অসিদের দুই ওপেনার মার্কাস হ্যারিস ও উসমান খাজা। দলের স্কোর বাড়াতে থাকেন তারা। ফলে হাফ-সেঞ্চুরিতে পৌঁছে যায় অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস।
অস্ট্রেলিয়ার উদ্বোধনী জুটি ভাঙ্গতে চিন্তায় পড়ে যায় ভারত। অবশেষে এবারের সিরিজে প্রথমবারের মত খেলতে নামা বাঁ-হাতি স্পিনার কুলদীপ যাদবের বলে প্যাভিলিয়নে ফিরেন ২৭ রান করা খাজা।
দলীয় ৭২ রানের প্রথম উইকেট হারানোর পর দলের রানের চাকা সচল রেখেছিলেন হ্যারিস ও মানুস লাবুসচাগনে। এর মধ্যে টেস্ট ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় হাফ-সেঞ্চুরি তুলে নেন হ্যারিস। হাফ-সেঞ্চুরির পর নিজের ইনিংস বড় করতে থাকেন তিনি। তবে ৭৯ রানে থেমে যেতে হয় তাকে। ভারতের আরেক স্পিনার রবীন্দ্র জাদেজার বলে আউট হন হ্যারিস।
হ্যারিসের বিদায়ের পর অস্ট্রেলিয়ার মিডল-অর্ডারকে চেপে ধরে ভারতীয় স্পিনাররা। তাই হ্যারিসের মত বড় ইনিংস খেলতে পারেননি অস্ট্রেলিয়ার কোন ব্যাটসম্যান। দলীয় ১৯৬ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারিয়ে বসে তারা।
শন মার্শ ৮ রান করে জাদেজার, ট্রাভিস হেড ২০ ও অধিনায়ক টিম পাইন ৫ রানে কুলদীপের এবং ৩৮ রান করা লাবুসচাগনেকে শিকার করেন পেসার মোহাম্মদ সামি।
ষষ্ঠ উইকেট পতনের পর দিনের শেষ ভাগে অস্ট্রেলিয়ার হাল ধরেন পিটার হ্যান্ডসকম্ব ও প্যাট কামিন্স। দিন শেষে হ্যান্ডসকম্ব ২৮ ও কামিন্স ২৫ রানে অপরাজিত আছেন। ভারতের কুলদীপ ৩টি ও জাদেজা ২টি উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ভারত : ৬২২/৭, ১৬৭.২ ওভার (পূজারা ১৯৩, পান্থ ১৫৯*, লিঁও ৪/১৭৮)।
অস্ট্রেলিয়া : ২৩৬/৬, ৮৩.৩ ওভার (হ্যারিস ৭৮, লাবুসচাগনে ৩৮, কুলদীপ ৩/৭১)।