ডেভিড মালানের পর পার্থ টেস্টে সেঞ্চুরি করলেন ইংল্যান্ডের উইকেটরক্ষক জনি বেয়ারস্টো। মালান-বেয়ারস্টোর জোড়া সেঞ্চুরিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাশেজ টেস্টের প্রথম ইনিংসে ৪০৩ রানের সংগ্রহ পায় ইংল্যান্ড। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ ও উসমান খাজার জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে ৩ উইকেটে ২০৩ রান করে অস্ট্রেলিয়া। ফলে ৭ উইকেট হাতে নিয়ে এখনও ২০০ রানে পিছিয়ে অসিরা।
খাজা ৫০ রানে থামলেও ৯২ রানে অপরাজিত আছেন স্মিথ। মালানের অপরাজিত ১১০ ও বেয়ারস্টোর অপরাজিত ৭৫ রানের সুবাদে প্রথম দিন শেষে ৪ উইকেটে ৩০৫ রান করেছিল ইংল্যান্ড। দ্বিতীয় দিন টেস্ট ক্যারিয়ারের চতুর্থ সেঞ্চুরি তুলে নেন বেয়ারস্টো। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে এটাই তার প্রথম সেঞ্চুরি।
মালানের পর বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরির ওপর ভর করে বড় সংগ্রহের পথেই এগুতে থাকে ইংল্যান্ড। কিন্তু দলীয় ৩৬৮ রানে মালানকে ফিরিয়ে বেয়ারস্টোর সাথে জুটি বিচ্ছিন্ন করেন অস্ট্রেলিয়ার অফ-স্পিনার নাথান লিঁও। ১৯টি চার ও ১টি ছক্কায় ২২৭ বলে ১৪০ রান করেন মালান। বেয়ারস্টোর সাথে জুটিতে ২৩৭ রান দলকে এনে দেন তিনি। ৭৯ বছর পর অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে পঞ্চম উইকেটে সর্বোচ্চ রানের জুটির রেকর্ড গড়েন মালান-বেয়ারস্টো।
মালানের পর মঈন আলী ও ক্রিস ওকস দ্রুত ফিরলেও ইংল্যান্ডের ভরসা হিসেবে ছিলেন বেয়ারস্টো। কিন্তু দলীয় ৩৮৯ রানে থামতে হয় তাকেও। অস্ট্রেলিয়ার বাঁ-হাতি পেসার মিচেল স্টার্কের শিকার হবার আগে ১৮টি চারে ২১৫ বলে ১১৯ রান করেন বেয়ারস্টো। তার বিদায়ের পর ৪০৩ রানেই গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে স্টার্ক ৪টি ও হ্যাজেলউড ৩টি উইকেট নেন।
মধ্যাহ্ন বিরতির পর ব্যাট করতে নেমে উদ্বোধনী জুটিতে ৪৪ রান যোগ করেন অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার ক্যামেরন বেনক্রফট ও ডেভিড ওয়ার্নার। ১১ রানের ব্যবধানে এই দু’জনকে ফিরিয়ে দিয়ে ইংল্যান্ড ডাবল সাফল্য এনে দেন দ্বিতীয় টেস্ট খেলতে নামা ক্রেইগ ওভারটন। বেনক্রফট ২৫ ও ওয়ার্নার ২২ রান করে ওভারটনের শিকার হন।
এরপর উসমান খাজাকে নিয়ে দলকে সামনে এগিয়ে নিতে থাকেন অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ। ইংল্যান্ডের বোলারদের বিপক্ষে মারমুখী ব্যাট চালান স্মিথ। অন্যপ্রান্তে খাজা ছিলেন সর্তক। এক পর্যায়ে দু’জনই তুলে নেন হাফ-সেঞ্চুরি।
টেস্ট ক্যারিয়ারের ১০ম হাফ-সেঞ্চুরির পর নিজের ইনিংস আর বাড়াতে পারেননি খাজা। ৫০ রানেই থেমে যান তিনি। তার ইনিংসে ৮টি চার ছিল। স্মিথের সাথে তৃতীয় উইকেটে ১২৪ রান যোগ করেন খাজা।
খাজার বিদায়ের পর ক্রিজে স্মিথের সঙ্গী হন শন মার্শ। দিনের শেষ ৬৫ বল মার্শকে নিয়ে ভালোভাবেই পার করে দেন স্মিথ। ১৪টি চার ও ১টি ছক্কায় ১২২ বলে ৯২ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন অসি দলপতি। ৭ রানে অপরাজিত আছেন মার্শ। ইংল্যান্ডের ওভারটন ২টি উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
ইংল্যান্ড : ৪০৩/১০, ১১৫.১ ওভার (মালান ১৪০, বোয়ারস্টো ১১৯, স্টার্ক /৯১)
অস্ট্রেলিয়া : ২০৩/৩, ৬২ ওভার (স্মিথ ৯২*, খাজা ৫০, ওভারটন ২/৪৬)।