শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে বক্সিং ডে টেস্ট জয়ের খুব কাছে স্বাগতিক নিউজিল্যান্ড। ক্রাইস্টচার্চের টেস্ট জিততে ম্যাচের পঞ্চম ও শেষ দিনে নিউজিল্যান্ডের প্রয়োজন ৪ উইকেট। অপরদিকে ৪ উইকেট হাতে নিয়ে ৪২৯ রান করতে হবে শ্রীলঙ্কাকে।
জয়ের জন্য ৬৬০ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে চতুর্থ দিন শেষে ৬ উইকেটে ২৩১ রান করেছে লঙ্কানরা। এর আগে তৃতীয় দিনই জয়ের টার্গেট পায় শ্রীলঙ্কা। সেই লক্ষ্যে দিন শেষে ২ উইকেটে ২৪ রান করেছিল লঙ্কানরা। দুই ওপেনার দানুস্কা গুনাথিলাকা ৪ ও দিমুথ করুনাত্নে শূন্য রানে ফিরেন। অধিনায়ক দিনেশ চান্ডিমাল ১৪ ও কুশল মেন্ডিস ৬ রানে অপরাজিত ছিলেন।
চতুর্থ দিন সকালে থেকে সতর্কতার সাথে খেলতে থাকেন চান্ডিমাল ও মেন্ডিস। ফলে দলের স্কোর শতরানের কোটা পেরিয়ে যায়। দু’জনই হাফ- সেঞ্চুরির স্বাদ নেন। অর্ধ শতকের পর চান্ডিমাল ও মেন্ডিসকে বড় ইনিংস খেলতে দেননি নিউজিল্যান্ডের পেসার নিল ওয়াগনার। চান্ডিমালকে ৫৬ ও মেন্ডিসকে ৬৭ রানে থামিয়ে দেন ওয়াগনার।
দু’টি দুর্দান্ত ব্রেক-থ্রু নিউজিল্যান্ডকে এনে দেন ওয়াগনার। এতে প্রতিপক্ষকে চেপে ধরার চেষ্টা করে কিউই বোলাররা। এরপর আরও দু’উইকেট তুলে নেয় তারা। রোশন সিলভাকে ১৮ রানে ওয়াগনার ও উইকেটরক্ষক নিরোশান ডিকবেলাকে ১৯ রানে শিকার করেন টিম সাউদি। মাঝে ২২ রানে আহত অবসর নেন সাবেক অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুজ। ফলে ২০৮ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা।
দিনের শেষভাগে আর কোন উইকেট পড়তে দেননি দিলরুয়ান পেরেরা ও সুরাঙ্গা লাকমল। পেরেরা ২২ ও লাকমল ১৬ রানে অপরাজিত আছেন। নিউজিল্যান্ডের ওয়াগনার ৪৭ রানে ৩ ও সাউদি ৬১ রানে ২ উইকেট নেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
নিউজিল্যান্ড : ১৭৮ ও ৫৮৫/৪ডি, ১৫৩ ওভার (লাথাম ১৭৬, নিকোলস ১৬২*, কুমারা ২/১৩৪)।
শ্রীলঙ্কা : ১০৪ ও ২৩১/৬, ১০৪ ওভার (মেন্ডিস ৬৭, চান্ডিমাল ৫৬, ওয়াগনার ৩/৪৭)।