ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে টেস্টে টাইগারদের চমৎকার সাফল্যের পর এতো আরেকটি সুসংবাদ। দুই দফা চোট কাটিয়ে অবশেষে ওয়ানডে দলে ফিরেছেন তামিম ইকবাল। এতে বাংলাদেশের ব্যাটিং লাইনআপ আরো শক্তিশালী হবে বলে মন করছেন বিশেষজ্ঞরা।
গত এশিয়া কাপে চোট নিয়ে মাঠের বাইরে ছিটকে গিয়েছিলেন সাকিব ও তামিম। তামিম আঙুলে চোট পেয়েছিলেন প্রথম ম্যাচেই। সেই চোট কাটিয়ে অনুশীলন শুরু করেছিলেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজের আগে। কিন্তু ব্যাটিং অনুশীলনে আবার টান লাগে শরীরের ডান পাশে। ফেরা তাই দীর্ঘায়িত হয় আরও।
সাকিব এশিয়া কাপ খেলেছিলেন পুরো ফিট না থেকেই। সুপার ফোরের শেষ ম্যাচের আগে আঙুলের অবস্থার অবনতি হলে ছিটকে যান টুর্নামেন্ট থেকে। দেশে ফিরে ঢাকার একটি হাসপাতালে চিকিৎসা নেওয়ার পর ডাক্তার দেখিয়ে আসেন অস্ট্রেলিয়া গিয়েও। সেসময় তার মাঠে ফেরার সম্ভাব্য সময় নিয়ে ছিল অনেক শঙ্কার খবর। কিন্তু নাটকীয়ভাবে উন্নতি হওয়ায় খেলেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ থেকেই।
এশিয়া কাপ ও দেশের মাটিতে জিম্বাবুয়ে সিরিজে পূর্ণ শক্তির দল পায়নি বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এবার নামতে পারবে তারা পুরো শক্তি নিয়ে। ১৬ সদস্যের এই দল ঘোষনা করা হয়েছে পুরো সিরিজের জন্যই।
তামিম ও সাকিব ফেরায় জিম্বাবুয়ে সিরিজের দল থেকে বাদ পড়েছেন নাজমুল হোসেন শান্ত ও ফজলে মাহমুদ রাব্বি। শান্ত বাদ পড়লেন জিম্বাবুয়ে সিরিজে কোনো ম্যাচ না খেলেই। তবে এর আগে এশিয়া কাপে ৩টি ম্যাচ খেলে রান করেছিলেন ২০।
ফজলে রাব্বি জাতীয় দলে প্রথমবার ডাক পেয়েছিলেন প্রায় ১৫ বছর ঘরোয়া ক্রিকেট খেলার পর। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের সঙ্গে তার পরিচয়টা সুখকর হয়নি। জিম্বাবুয়ে সিরিজে দুটি ওয়ানডে খেলে দুটিতেই আউট হয়েছিলেন শূন্য রানে। নিতে পারেননি উইকেট।
আগামী ৯ ডিসেম্বর মিরপুর শেরেবাংলা স্টেডিয়ামে তিন ম্যাচের প্রথম ওয়ানডে অনিুষ্ঠিত হবে। একই মাঠে দ্বিতীয় ওয়ানডে ১১ ডিসেম্বর এবং সিলেটে সিরিজের শেষ ম্যাচটি হবে ১৪ ডিসেম্বর।
বাংলাদেশ দল:
মাশরাফি বিন মুর্তজা (অধিনায়ক), সাকিব আল হাসান (সহ অধিনায়ক), তামিম ইকবাল, ইমরুল কায়েস, সৌম্য সরকার, লিটন দাস, মুশফিকুর রহিম, মাহমুদউল্লাহ, রুবেল হোসেন, মোস্তাফিজুর রহমান, মেহেদী হাসান মিরাজ, নাজমুল ইসলাম অপু, মো. মিঠুন, সাইফউদ্দিন, আবু হায়দার রনি ও আরিফুল হক।