ঢাকা টেস্টে প্রথম ইনিংসে বাংলাদেশের ৫০৮ রানের জবাবে ১১১ রানে অলআউট হয়ে ফলোঅনে পড়েছে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে এই প্রথমবারের মত কোন প্রতিপক্ষকে ফলোঅনে বাধ্য করলো বাংলাদেশ।
এদিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজকে শুধু ফলোঅনেই বাধ্য করেনি বাংলাদেশ, ফলোঅন এড়াতে ব্যাট হাতে আবার ধস নেমেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিবিরে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৪ উইকেটে ৪৬ রান সংগ্রহ করে মধ্যাহ্ন বিরতিতে গেছে সফরকারীরা। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এমন পরিণতিতে প্রথমবারের মত ইনিংস ব্যবধানে জয়ের সুযোগও দেখছে বাংলাদেশ।
২০০০ সালে টেস্ট আঙ্গিনায় পা রাখে বাংলাদেশ। এরপর ঢাকা টেস্টসহ (চলমান) নিজেদের ইতিহাসে ১১২টি ম্যাচ খেলছে বাংলাদেশ। আগের ১১১টি ম্যাচের কোনটিতেই প্রতিপক্ষকে ফলো-অন করায়নি কিংবা ফেলতে পারেনি টাইগাররা।
সিরিজের দ্বিতীয় ঢাকা টেস্টে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজকে প্রথম ইনিংসে ১১১ রানে অলআউট করে দিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ফলে ফলোঅনে পড়ে ক্যারিবীয়রা। প্রথম ইনিংস থেকে ৩৯৭ রানের লিড পেয়েছে সাকিবের দল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাফেট শূন্য, সুনীল অ্যামব্রিস ৭, কাইরেন পাওয়েল ৪, শাই হোপ ১০, রোস্টন চেজ শূন্য, শিমরোন হেটমায়ার ৩৯, শেন ডওরিচ ৩৭, দেবেন্দ্র বিশু ১, কেমার রোচ ১, জোমেল ওয়ারিকান অপরাজিত ৫ ও শিরমোন লুইস শূন্য রান করেন। বাংলাদেশের মেহেদি হাসান মিরাজ ৭টি ও সাকিব আল হাসান ৩টি উইকেট নেন।
এর আগে মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরি ও অন্যান্য ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিং সব কয়টি উিইকেট হারিয়ে ৫০৮ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ : ৫০৮ (সাকিব ৮০, মাহমুদউল্লাহ ১৩৬, লিটন ৫৪, মিরাজ ১৮, তাইজুল ২৬, নাঈম ১২*; রোচ ২৫-৪-৬১-১, লুইস ২০-২-৬৯-১, ওয়ারিক্যান ৩৮-৫-৯১-২, বিশু ২৮-১-১০৯-২, ব্র্যাথওয়েট ১৫-০-৫৭-২)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ৩৬.৪ ওভারে ১১১ (হেটমায়ার ৩৯, ডাওরিচ ৩৭, বিশু ১, রোচ ১, ওয়ারিক্যান ৫*, লুইস ০; সাকিব ১৫.৪-৪-২৭-৩, মিরাজ ১৬-১-৫৮-৭, নাঈম ৩-০-৯-০, তাইজুল ১-০-১০-০, মাহমুদউল্লাহ ১-১-০-০)।