এ যেন রেকর্ডময় টেস্ট সিরিজ। বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা একের পর এক ব্যক্তিগত রেকর্ড গড়ছেন। তবে এবার টেস্ট ইতিহাসে দলীয় রেকর্ড গড়লো বাংলাদেশ।
মিরপুর টেস্টে তৃতীয় দিনে মিরাজ-সাকিবের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১১১ রানে আলআউট হয়ে যায়। এতে ফলোঅনে পড়ে ক্যারিবিয়রা। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো কোনো দলকে ফলোঅনে পাঠাল বাংলাদেশ। আর বাংলাদেশের বিপক্ষে ওয়েস্ট ইন্ডিজের এটাই সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর।
তাই ম্যাচের তৃতীয় ইনিংসেই ব্যাট হাতে নামলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম ইনিংস থেকে ৩৯৭ রানের লিড পেয়েছে সাকিবের দল।
৩৯৭ রানের জবাবে ব্যাটিং এ নেমেও টাইগার স্পিনারদের তোপের মুখে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ইতিমধ্যে ৩০ রান করতেই তাদের নেই ৪ উইকেট।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে অধিনায়ক ক্রেইগ ব্রাফেট শূন্য, সুনীল অ্যামব্রিস ৭, কাইরেন পাওয়েল ৪, শাই হোপ ১০, রোস্টন চেজ শূন্য, শিমরোন হেটমায়ার ৩৯, শেন ডওরিচ ৩৭, দেবেন্দ্র বিশু ১, কেমার রোচ ১, জোমেল ওয়ারিকান অপরাজিত ৫ ও শিরমোন লুইস শূন্য রান করেন। বাংলাদেশের মেহেদি হাসান মিরাজ ৭টি ও সাকিব আল হাসান ৩টি উইকেট নেন।
এর আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ করে। সব কয়টি উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫৫৬ রান।
২০১২ সালে এ মিরপুরের ভেন্যুতেই নাঈম ইসলামের ১০৮, নাসির হোসেনের ৯৬, সাকিব আল হাসানের ৮৯ ও তামিম ইকবালের ৭২ রানের সুবাদে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজেদের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ।
টেস্ট ক্রিকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ ৬৩৮ রান। ২০১৩ সালে গল টেস্টে মুশফিকুর রহিমের ২০০, মোহাম্মদ আশরাফুলের ১৯০ ও নাসির হোসেনের ১০০ রানের সুবাদে ৬৩৮ রান তুলে অলআউট হয় বাংলাদেশ।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
বাংলাদেশ : ৫০৮ (সাকিব ৮০, মাহমুদউল্লাহ ১৩৬, লিটন ৫৪, মিরাজ ১৮, তাইজুল ২৬, নাঈম ১২*; রোচ ২৫-৪-৬১-১, লুইস ২০-২-৬৯-১, ওয়ারিক্যান ৩৮-৫-৯১-২, বিশু ২৮-১-১০৯-২, ব্র্যাথওয়েট ১৫-০-৫৭-২)।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ : ৩৬.৪ ওভারে ১১১ (হেটমায়ার ৩৯, ডাওরিচ ৩৭, বিশু ১, রোচ ১, ওয়ারিক্যান ৫*, লুইস ০; সাকিব ১৫.৪-৪-২৭-৩, মিরাজ ১৬-১-৫৮-৭, নাঈম ৩-০-৯-০, তাইজুল ১-০-১০-০, মাহমুদউল্লাহ ১-১-০-০)।