ঢাকা টেস্টে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরি করেছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। সাত নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে ১৩৬ রানের নান্দনিক ইনিংস খেলেছেন। তার ক্যারিয়ারের তৃতীয় সেঞ্চুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫০৮ রানের পাহাড় গড়েছে বাংলাদেশ। আর নিজের এ নান্দনিক সেঞ্চুরিটি নিজের মা’কে উৎসর্গ করেছেন মাহমুদউল্লাহ।
ঢাকা টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে মাহমুদউল্লাহ বলেন, ‘উদযাপনের উদ্দেশ্য আমার পরিবার। আমার স্ত্রী, আমার ছোট বাচ্চা। আমি আমার একশোটা আমার আম্মুকে উৎসর্গ করতে চাই। কারণ আমার বাবা-মা আমার জন্য অনেক দোয়া করেন। সবার বাবা মা, তাই করেন। এ কারণে আমার মনে হয় তারা এটা ডিজার্ভ করেন।’
মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরির সাথে সাকিব-সাদমানের জোড়া হাফ-সেঞ্চুরিতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের উপর রানের পাহাড় চাপিয়ে দিতে পেরেছে বাংলাদেশ। এমনটা মনে করেন মাহমুদউল্লাহ নিজেও, ‘আমাদের ব্যাটসম্যানরা অনেক ভালো ব্যাটিং করেছে। আপনি যদি আমাদের স্কোরকার্ড দেখেন, সবাই ডাবল ফিগারে পৌঁছেছে। আমার ইনিংসটা একটু বড় হয়েছে, সাকিবের ইনিংসটা বড় হয়েছে। সাদমান খুব ভালো ব্যাটিং করেছে। আর সবাই ভালো শুরু পেয়েছিলাম।’
তিনি বলেণ, ‘উইকেট সহজ ছিল না। অনেক ধৈর্য্য নিয়ে খেলতে হয়েছে। আপনি যদি দেখেন, খুব একটা চার হয়নি। বাউন্ডারিও বেশ বড় ছিল, উই হ্যাভ টু হিট দ্য বল ভেরি হার্ড টু পুট ইট ইন দ্য গ্যাপস। ওই জিনিসটা খুব ইম্পরট্যান্ট ছিল, আর সবাই অনেক ধৈর্য নিয়ে ব্যাট করেছে। সাকিবের ইনিংসটা অনেক ইম্পরট্যান্ট ছিল অ্যাজ ওয়েল অ্যাজ সাদমান। শুরুটা গুরুত্বপূর্ণ ছিল, সাদমান ভালো ব্যাট করেছে। মনেই হয়নি সে প্রথম ম্যাচ খেলছে।’
প্রথম সেঞ্চুরির পর আট বছর পর দ্বিতীয় শতকের দেখা গেল মাসে পান মাহমু্ল্লেউহ। আর আজ (শনিবার) পেলেন তৃতীয় সেঞ্চুরি। তাই জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় শতকের সাথে এ সেঞ্চুরির পার্থক্য কী জানতে চাওয়া হলে মাহমুদ্ল্লউহ বলেন, ‘আমি রান করতে চাচ্ছিলাম। আমার জন্য ওটাই সেরা অপশন ছিল। আমার এভাবেই ব্যাটিং করা উচিত। তারপরও আজকে বেশ কয়েকবার আমি লাকিও ছিলাম। বেশ কয়েকটা সিদ্ধান্ত আমার পক্ষেও গিয়েছে। তারপরও মনে হয় উন্নতির অনেক জায়গা আছে। কষ্ট করতে হবে আরও।’