অভিষেকেই ৭৬ রানের ঝলমলে এক ইনিংস সাদমানের। তবে চমৎকার এই সফলতার মূল নায়ক হিসেবে পুরো কৃতিত্ব তার বাবাকেই দিলেন।
সাদমান জানান, বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) গেম ডেভেলপম্যান্ট কমিটিতে চাকুরী করার সুবাদে নিয়মিতই সাদমানের বাবা শহিদুল ইসলামকে আসতে হয় মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে। তার হাত ধরেই মাঠে আসতেন ছোট্ট সাদমান ইসলাম অনিক। ২০০০ সালে গেম ডেভেলপম্যান্ট কমিটি প্রতিষ্ঠার শুরু থেকেই। সেই ছোট্ট সাদমান আজ বাংলাদেশ দলের টেস্ট খেলোয়াড়।
তিনি বলেন, বাবার ভূমিকা অবশ্যই আছে। আব্বু সব সময় ক্রিকেটে সহযোগিতা করেছে। আমি সব সময় ক্যাম্পে যেতাম। অনূর্ধ্ব ১৫-১৭ ক্যাম্পে সব সময় আমাকে নিয়ে যেত। তখন আমি ছোট ছিলাম। তখন থেকেই আমার ইচ্ছা ছিল খেলোয়াড় হবো। যেভাবে আব্বু খেলার জন্য বলছে ....আমি একাডেমি কিংবা স্কুল ক্রিকেট থেকে ওভাবেই তৈরি হয়েছি। কিভাবে খেলতে হয়, কিভাবে লাইফ সেট করতে হয় ক্রিকেটারদের ওগুলো আমাকে এখনও বলে। নিজেকে চেষ্টা করি ওভাবে রাখার। ’
জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়া আগে সাদমানকে প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ভালো করতে হয়েছিল। সে ৪২টি ম্যাচে ৪৬.৫০ গড়ে করেছেন ৩০২৩ রান। সম্প্রতি শেষ হওয়া জাতীয় লিগে ঢাকা মেট্রোর হয়ে আসরের সর্বোচ্চ ৬৪৮ রান আসে তার ব্যাট থেকে। এ বছর প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে ১৪ ম্যাচে ৫৬.০৪ গড়ে ১১৭১ রান করেন তিনি। এছাড়াও ২০১৪ সালে অনুষ্ঠিত অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ৪১৬ রানের রেকর্ড করেছেন।