শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে কলম্বো টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে চালকের আসনে রয়েছে সফরকারী ইংল্যান্ড। নিজেদের প্রথম ইনিংসে ৩৩৬ রান করে ইংল্যান্ড। এরপর প্রথম ইনিংসে শ্রীলঙ্কাকে ২৪০ রানেই গুটিয়ে দিয়েছে ইংলিশরা। ফলে প্রথম ইনিংস থেকে ৯৬ রানের লিড পেয়েছে সফরকারীরা। দিনের শেষভাগে নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করে বিনা উইকেটে ৩ রান করেছে তারা। ফলে ১০ উইকেট হাতে নিয়ে ৯৯ রানে এগিয়ে রয়েছে ইংল্যান্ড।
জনি বেয়ারস্টোর সেঞ্চুরিতে প্রথম দিন ৭ উইকেটে ৩১২ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড। দিন শেষে মঈন আলী ২৩ ও আদিল রশিদ ১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। দ্বিতীয় দিন সকালে নিজেদের ইনিংস বড় করতে পারেননি তারা। শেষ পর্যন্ত ৩৩৬ রানে থামে ইংল্যান্ড। মঈন ৩৩ রানে থামলেও রশিদ ২১ রানে অপরাজিত থাকেন। শ্রীলঙ্কার লক্ষন সান্দাকান টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীবারের মত পাঁচ উইকেট শিকার করেন। এ ইনিংসে তার বোলিং ফিগার ছিল ২২ ওভারে ৯৫ রানে ৫ উইকেট।
মধ্যাহ্ন বিরতির আগে নিজেদের ইনিংস শুরু করে দলীয় ৩১ রানে প্রথম উইকেট হারায় শ্রীলঙ্কা। তবে দ্বিতীয় উইকেটে বড় জুটি গড়েন শ্রীলঙ্কার ওপেনার দিমুথ করুনাত্নে ও ধনঞ্জয়া ডি সিলভা ১৪২ রানের জুটি গড়েন তারা। ফলে বেশ ভালো অবস্থায় দাঁড়িয়ে ছিল শ্রীলঙ্কা। তবে ডি সিলভাকে বিদায় দিয়ে দলকে খেলায় ফেরার পথ তৈরি করেন ইংল্যান্ড লেগ-স্পিনার আদিল রশিদ। ৮টি চারে ৭৩ রান করেন ডি সিলভা।
দলীয় ১৭৩ রানে ডি সিলভা আউটের পর দলের পরের দিকের ব্যাটসম্যানরা যাওয়া আসার মিছিল শুরু করেন। ফলে ২৪০ রানেই গুটিয়ে যায় শ্রীলঙ্কার ইনিংস। অর্থাৎ ৬৭ রানে শেষ ৯ উইকেট হারিয়েছে শ্রীলঙ্কা।
লঙ্কানদের এ করুণ দশা করেন ইংল্যান্ডের রশিদ ও বেন স্টোকস। রশিদ ৫টি ও স্টোকস ৩টি উইকেট নেন। শ্রীলঙ্কার করুনারত্নে ৮৩ ও কুশল মেন্ডিস ২৭ রান করেন। ৪৯ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মত এক ইনিংসে পাঁচ ব্যাটসম্যানকে শিকার করেন রশিদ।