চট্টগ্রামে শুরু হয়েছে বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের মধ্যকার দুই ম্যাচ টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচ। বন্দর নগরী চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এ খেলা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে এর আগে ১৭টি ম্যাচ খেলেছে বাংলাদেশ। এর মধ্যে মাত্র ১টি ম্যাচে জয় পেয়েছে টাইগরারা। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১৮৬ রানে জয় পায় তারা। ছয়টি টেস্ট ড্র ও ১০টি ম্যাচে হারের স্বাদ পায় টাইগাররা। এখানে বাংলাদেশ সর্বশেষ ম্যাচ খেলেছে চলতি বছরের জানুয়ারিতে। শ্রীলঙ্কার সাথে ওই টেস্টটি ড্র করে টাইগাররা।
জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ শ্রীলঙ্কার। চলতি বছরের জানুয়ারিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৯ উইকেটে ৭১৩ রান করেছিল লঙ্কানরা। শেষ পর্যন্ত ওই টেস্টটি ড্র হয়।
চট্টগ্রামের এ ভেন্যুতে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারার। ২০১৪ সালে ৩২টি চার ও ৮টি ছক্কায় ৪৮২ বলে ৫৫১ মিনিট ক্রিজে ব্যাট করে ৩১৯ রান করেন সাঙ্গা। অবশ্য দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশ ব্যাটসম্যানদের দৃঢ়তায় ওই ম্যাচটি ড্র হয়েছিল।
বাংলাদেশের পক্ষে এ ভেন্যুতে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস খেলেছেন মোমিনুল হক। ২০১৩ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৭৪ বলে ১৮১ রান করেন তিনি। তার ৩৭৭ মিনিটের ইনিংসে ২৭টি চার ছিল। ওই ম্যাচটিও ড্র হয়েছিল।
চট্টগ্রামের এ ভেন্যুতে সবচেয়ে বেশি রান করেছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ১৪ ম্যাচের ২৫ ইনিংসে ১০৯২ রান করেন তিনি। এর মধ্যে ১টি সেঞ্চুরি ও ৭টি হাফ-সেঞ্চুরি রয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান তামিম ইকবালের। ১৪ ম্যাচের ২৭ ইনিংসে ৮৯৬ রান রয়েছে তামিমের। ৭ ম্যাচের ১৩ ইনিংসে ৮৬৯ রান নিয়ে তৃতীয় স্থানে মোমিনুল।
এছাড়া সবচেয়ে বেশি উইকেট শিকার করেছেন বাংলাদেশের সাকিব। ১৪ ম্যাচে ৫০ উইকেট শিকার রয়েছে তার। সেরা বোলিং ফিগারও সাকিবের। ২০০৮ সালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ২৫ দশমিক ৫ ওভার বল করে ৩৬ রানে ৭ উইকেট নেন তিনি। প্রথম ইনিংসে সাকিবের দুর্দন্ত বোলিংয়ের পরও ৩ উইকেটে ম্যাচ হেরেছিল টাইগাররা।
সাগরিকার পাড়েই অবস্থিত এ ভেন্যুতে সর্বোচ্চ জুটির রান ৪১৫। ২০০৮ সালে উদ্বোধনী জুটিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ৪১৫ রান করেন গ্রায়েম স্মিথ ও নিল ম্যাকেনঞ্জি। ওই ম্যাচে ইনিংস ও ২০৫ রানের ব্যবধানে জিতেছিল প্রোটিয়ারা।