চন্ডিকা হাথুরুসিংহে অধ্যায় শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের ক্রিকেটে আরও এক পরিবর্তন আসলো। টেস্টের দায়িত্ব থেকে মুশফিকুর রহীমকে অব্যাহতি দিয়ে দায়িত্ব দেয়া হলো সাকিব আল হাসানকে। ফলে টি-টোয়েন্টির পর টেস্টের নেতৃত্বও এখন সাকিবের কাঁধে। টেস্টে সাকিবের সহকারী হিসেবে রাখা হয়েছে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে।
মার্চে শ্রীলঙ্কা সফরে মাশরাফি বিন মর্তুজা টি-টোয়েন্টিতে থেকে অবসর নেয়ার পর অধিনায়কের দায়িত্ব দেয়া হয় সাকিবকে। এবার ক্রিকেটের সংখিপ্ত ভার্ষনের পর টেস্ট ফরম্যাটের দায়িত্বও পেলেন তিনি।
এর আগে সদ্য সাবেক টেস্ট দলে অধিনায়ক মুশফিকের বেশ কিছু মন্তব্যে বিরক্ত হয়েছিলেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। তবে সাংবাদিকরা পাপনের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে বলেন, আমরা সত্যিই সঠিক কারণ জানাতে পারি না। তবে আমরা অনুভব করেছি যে মুশফিকুর রহিমকে তার ব্যাটিংয়ে মনোনিবেশ করতে হবে এবং চাপ-মুক্ত থাকতে হবে।
তিনি আরও বলেন, আমরা টেস্ট অধিনায়ক পরিবর্তন করছি। আগামী সিরিজ থেকে আমাদের টেস্ট অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। সহ-অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ। অন্য ফরম্যাটে যেভাবে ছিল সেভাবেই থাকবে।
এর আগে টেস্ট দলের সহ-অধিনায়ক ছিলেন ওপেনার তামিম ইকবাল। এবার তার জায়গায় দায়িত্ব দেয়া হয়েছে মাহমুদউল্লাহকে।তামিমকে টেস্ট দলের সহ-অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়ার কোনো ব্যাখ্যা দেননি পাপন। তবে তামিম টি-টোয়েন্টিতে ডেপুটি হিবেসে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, ২০০৯ সালে বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব পান সাকিব, সহ-অধিনায়ক হন তামিম। ২০১১ সালে জিম্বাবুয়ে সফরে ব্যর্থতায় নেতৃত্ব হারান দুইজনই। মুশফিককে নতুন অধিনায়ক বেছে নেয় বিসিবি, সহ-অধিনায়ক হন মাহমুদউল্লাহ।
২০১৪ সালে বাংলাদেশের টানা ব্যর্থতার মাঝে ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে মাশরাফি বিন মুর্তজাকে নেতৃত্ব আনে বিসিবি। অভিজ্ঞ এই পেসার এখনও ওয়ানডে অধিনায়ক, ডেপুটি সাকিব।