ঢাকা টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ২১৮ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়েছে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ফলে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ ব্যবধানে ড্র হলো। ঢাকা টেস্টের ম্যাচ সেরা হয়েছেন বাংলাদেশের মুশফিকুর রহিম এবং সিরিজ সেরা হয়েছেন তাইজুল ইসলাম।
সিরিজের দ্বিতীয় ও ঢাকা টেস্টে বাংলাদেশের জয়ের পেছনে সবচেয়ে বড় ভূমিকা রাখেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান ও সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম। ম্যাচের প্রথম ইনিংসে পাঁচ নম্বরে ব্যাট হাতে নেমে অপরাজিত ২১৯ রানের মহাকাব্যিক ইনিংস খেলেছেন মুশফিক।
২৬ রানে ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ যখন খাদের কিনারায় তখন মাঠে নামেন মুশফিক। শক্ত হাতে দলের হাল ধরেন। এ অবস্থায় ব্যাটিংয়ে নেমে মুমিনুল হকের সাথে ২৬৬ রানের দুর্দান্ত একটি জুটি গড়েন মুশফিক।
মুমিনুল ১৬১ রানে থেমে গেলেও ৬৪ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে দ্বিতীয়বারের মত ডাবল-সেঞ্চুরির স্বাদ নেন মুশফিক। উইকেটরক্ষক হিসেবে দ্বিতীয় ডাবল-সেঞ্চুরির স্বাদ নিয়ে বিশ্বরেকর্ড গড়েন মুশফিক। মুশফিকের আগে বিশ্বের আর কোন উইকেটরক্ষক দু’টি ডাবল-সেঞ্চুরি করতে পারেননি।
নিজের বিশ্বরেকর্ড গড়া ইনিংসে ১৮টি চার ও ১টি ছক্কা মারেন মুশফিক। এ জন্য ৫৮৯ মিনিট ক্রিজে ও ৪২১টি বল খেলেছেন তিনি। এ ক্ষেত্রে বাংলাদেশের হয়ে রেকর্ডও গড়েছেন মুশি।
বাংলাদেশের প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম দেশের ও নিজের অভিষেক ম্যাচে ভারতের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ৫৩৫ মিনিট ক্রিজে ছিলেন আমিনুল। আর জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে ৫৮৯ মিনিট ক্রিজে থাকেন মুশফিক। আবার সবচেয়ে বেশি বল খেলাতে বাংলাদেশের ও বিশ্বের সর্বকনিষ্ট টেস্ট সেঞ্চুরিয়ান মোহাম্মদ আশরাফুলকে পেছনে ফেলেন মুশফিক।
২০১৩ সালে গল টেস্টে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ৪১৭ বল মোকাবেলা করেছিলেন আশরাফুল। এ ক্ষেত্রে আশরাফুলকে টপকে যান মুশফিকুর।
এছাড়া দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে সর্বোচ্চ রানও করেছেন মুশফিকুর রহিম। ২ ম্যাচের ৪ ইনিংস ব্যাট করে ২৭০ রান করেছেন তিনি। তার ব্যাটিং গড়- ৯০।
বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ের মধ্যকার এ দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে দুর্দান্ত বল করেছেন বাংলাদেশের তাইজুল ইসলাম। দুই ম্যাচের ৪ ইনিংসে ১৪৫ দশমিক ৪ ওভার বল করে ৩৭০ রানে ১৮ উইকেট শিকার করেন তিনি। তার এমন বোলিংয়ে সিরিজ সেরা খেলোয়ার হয়েছেন তাইজুল।