সিরিজ নিয়ে নানা শঙ্কা ছিল। যদি ঢাকার ম্যাচটি ড্র হত তাহলে সিরিজটি হাত ছাড়া হয়ে যেত বাংলাদেশের। কিন্তু টাইগারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ২১৮ রানের বড় ব্যবধানে পেয়েছে বাংলাদেশ।
আজ (বৃহস্পতিবার) শেষ হওয়া সিরিজের প্রথম টেস্টে জিম্বাবুয়ের কাছে ১৫১ রানের বড় ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। ফলে সিরিজ বাঁচাতে ঢাকা টেস্টে জয় ছাড়া ভিন্ন কোন পথ খোলা ছিল না টাইগারদের। এমন সমীকরণে সফল হয়েছে বাংলাদেশ।
ঢাকা টেস্টে জিম্বাবুয়েকে ২১৮ রানের বড় ব্যবধানে হারালো মাহমুদুল্লাহর নেতৃত্বাধীন টাইগাররা। এ জয়ে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করলো টাইগাররা। নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে এ নিয়ে চতুর্থবার প্রথম ম্যাচ হেরেও সিরিজ সমতায় শেষ করতে সক্ষম হলো বাংলাদেশ।
এর আগে জিম্বাবুয়ে, ইংল্যান্ড ও শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ম্যাচ হেরেও সমতায় সিরিজ শেষ করে বাংলাদেশ। প্রথমটি ছিল ২০১৩ সালের এপ্রিলে। জিম্বাবুয়ের মাটিতে দুই ম্যাচের টেস্ট সিরিজে অংশ নিয়েছিল বাংলাদেশ। হারারেতে সিরিজের প্রথম টেস্ট ৩৩৫ রানের বড় ব্যবধানে হারে টাইগাররা। ফলে ১-০ ব্যবধানে পিছিয়ে পড়ে বাংলাদেশ। তবে পরের টেস্টে ঘুরে দাঁড়ায় টাইগাররা। হারারেতেই সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ১৪৩ রানের ব্যবধানে জিতে নেয় বাংলাদেশ। ফলে পিছিয়ে পড়েও দুই ম্যাচের সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করে বাংলাদেশ।
দ্বিতীয়টি ২০১৬ সালের অক্টোবরে। দেশের মাটিতে ইংল্যান্ডের সাথে দুই ম্যাচের সিরিজ ১-১ সমতায় শেষ করে। চট্টগ্রামে সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাত্র ২২ রানে হার মানে বাংলাদেশ। তবে ঢাকার মিরপুরে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ঠিকই জিতে নেয় টাইগাররা। অফ-স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজের ১২ উইকেট শিকারে দ্বিতীয় টেস্টটি ১০৮ রানের ব্যবধানে জিতে স্বাগতিকরা। অর্থাৎ দ্বিতীয়বার পিছিয়ে পড়েও সিরিজ সমতায় শেষ করতে সক্ষম হয় বাংলাদেশ।
২০১৭ সালে তৃতীয়বার পিছিয়ে পড়েও সিরিজ ড্র করেছিল বাংলাদেশ। সে বছরের মার্চ মাসে শ্রীলঙ্কা সফরে গলে সিরিজের প্রথম টেস্টে ২৫৯ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। কিন্তু সিরিজের দ্বিতীয় ও নিজেদের শততম টেস্টে ঠিকই জিতে নেয় টাইগাররা।
৪ উইকেটের জয় নিয়ে সিরিজ ড্র করে টাইগাররা। শততম ম্যাচে জয় দিয়ে সিরিজে পিছিয়ে পড়ে সমতায় শেষ করে বাংলাদেশ।