জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে অপরাজিত ২১৯ রান করেছেন বাংলাদেশের সাবেক অধিনায়ক ও উইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান মুশফিকুর রহিম। দুর্দান্ত খেলে ডাবল সেঞ্চুরি করার পর দু’হাত উচিয়ে উৎসব করেন তিনি। এ সময় হাতের আঙুল দিয়ে লাভ অ্যাঁকে বাতাসে চুমুও ভাসান মুশফিক।
দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষে সেই চুমুর রহস্য জানালেন মুশফিক। এমন দুর্দান্ত ইনিংসটি নিজের স্ত্রী জান্নাতুল কিফায়াত মন্ডিকে উৎসর্গ করেছেন মুশি। চলতি বছরের ৫ ফেব্রুয়ারি (সোমবার) রাজধানীর একটি হাসপাতালে ‘জুনিয়র মুশফিক’-এর মা হয়েছেন তিনি।
মুশফিক বলেন, ‘এই ইনিংসটি আমার স্ত্রীকে উৎসর্গ করেছি। ইনিংসটা অনেক স্পেশাল ছিল। ও (জান্নাতুল কিফায়াত মন্ডি) আমাকে অনেক অনেক উৎসাহ দিয়েছে। গতকালও আমাকে অনেক উৎসাহ দিয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘২০১০ সালে আমার প্রথম টেস্ট সেঞ্চুরি, বিশেষ করে এই মাঠে আমার প্রথম সেঞ্চুরি। এটা আমার ক্ষেত্রে মাইলফলক ছিল। চেষ্টা থাকবে এটার ধারবাহিকতা ধরে রাখার।’
২০১৩ সালে নিজের ক্যারিয়ারে প্রথম ডাবল-সেঞ্চুরি করেন মুশফিক। এরপর পাঁচ বছর পর আবারও টেস্টে নিজের ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় ডাবল-সেঞ্চুরি করলেন তিনি।
দ্বিতীয় ডাবল-সেঞ্চুরি নিয়ে নিজের অনুভূতি জানাতে গিয়ে মুশি বলেন, ‘টেস্টে খুব খারাপ ছন্দে ছিলাম সেটা বলব না। হয়তো বড় রান আসেনি কিন্তু আমি জানতাম বড় ইনিংস হবে। একটু ভাগ্য আমার পক্ষে কথা বললেই একটা ফিফটিকে বড় একটা ইনিংসে পরিণত করতে পারব, এমন অনুভূতি ছিল। এ জায়গায় আমার একটু সমস্যা ছিল। সেটা ওভারকাম করে এ ইনিংসে জুড়ে সেটা ক্যাপিটালাইজ করতে পেরেছি। নিজের ওপর অনেক বিশ্বাস ছিল, প্রস্তুতিটা অনেক ভালো ছিল। সেদিক থেকে অবশ্যই অনেক ভালো লাগছে। কারণ ডাবল সেঞ্চুরি করা সহজ ছিল না।’
শ্রীলঙ্কার গলের পর ঢাকায় ডাবল-সেঞ্চুরি -এর মধ্যে কোনটি এগিয়ে? এমন প্রশ্নের জবাবে মুশফিক বলেন, ‘এগিয়ে রাখার সময় আসেনি। যদি এ ম্যাচটা জিততে পারি তাহলে এটাই এগিয়ে থাকবে। কারণ আমরা গলে টেস্ট জয় করিনি, ড্র করেছি। ওটা কঠিন ছিল। কারণ ওরা ৫০০ রানের মত করেছিল। তারপর এসে ব্যাট করা সহজ ছিল না এবং আক্রমণাত্মক খেলাটাও কঠিন ছিল।’
মুশফিক বলেন, ‘এ উইকেটে শুরুতে এসে ব্যাট করার সময় বোলারদের যথেষ্ট সহায়তা ছিল, আর বোলাররাও যথেষ্ট ভালো করছিল। এ ইনিংসটাকে গলের তুলনায় অনেক কমপেক্ট বলতে পারেন। আমি এখানে বলও অনেক খেলেছি। আমার মনে হয় এটা ভালো ইনিংস ছিল। সেরা বলব না, তবে ভালো ইনিংস ছিল।’