দীর্ঘ পাঁচ বছর ও ১২ ম্যাচ পর টেস্ট জিতলো জিম্বাবুয়ে। সিলেটের অভিষেক ম্যাচে বাংলাদেশকে ১৫১ রানের বড় ব্যবধানে হারিয়ে দীর্ঘদিন পর জয়ের স্বাদ তুলে নিলো আইসিসি র্যাংকিংয়ের দশম স্থানে থাকা জিম্বাবুয়ে।
২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে সর্বশেষ টেস্ট ম্যাচ জিতেছিল জিম্বাবুয়ে। হারারেতে অনুষ্ঠিত পাকিস্তানের বিপক্ষে দুই ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয়টিতে ২৪ রানে জয় পায় জিম্বাবুয়ে। সেটিই ছিল আজকের আগ পর্যন্ত জিম্বাবুয়ের সর্বশেষ জয়।
পাকিস্তানের বিপক্ষে ঐতিহাসিক ঐ জয়ের পর দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে দু’বার, বাংলাদেশের কাছে তিনবার, নিউজিল্যান্ডের কাছে দু’বার, শ্রীলঙ্কার কাছে তিনবার এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে একবার হার ও একটি টেস্ট ড্র করে জিম্বাবুয়ে।
দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে ৯ উইকেটে এবং ইনিংস ও ১২০ রানে, বাংলাদেশের কাছে ৩ উইকেটে-১৬২ রানে-১৮৬ রানে, নিউজিল্যান্ডের কাছে ইনিংস ও ১১৭ রানে এবং ২৫৪ রানে, শ্রীলঙ্কার কাছে ২২৫ রানে-২৫৭ রানে-৪ উইকেটে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের কাছে ১১৭ রানে হারে জিম্বাবুয়ে।
এদিকে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১৫১ রানের বড় ব্যবধানের জয় টেস্ট ক্রিকেটে জিম্বাবুয়ের তৃতীয় সর্বোচ্চ রানে জয়। বাংলাদেশের বিপক্ষেও তৃতীয়। টেস্ট ফরম্যাটে রানের হিসেবে জিম্বাবুয়ের সেরা তিনটিই জয় এসেছে বাংলাদেশের বিপক্ষে।
টেস্টে জিম্বাবুয়ের সবচেয়ে বড় জয় ৩৩৫ রানে। ২০১৩ সালে হারারেতে অনুষ্ঠিত ঐ ম্যাচে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে লড়াই করতে পারেনি মুশফিকুর রহিমের নেতৃত্বাধীন দলটি। টস জিতে পরে ব্যাট করে দুই ইনিংসে ১৩৪ ও ১৪৭ রান করে বাংলাদেশ। দুই ইনিংসে জিম্বাবুয়ের রান ছিল ৩৮৯ ও ৭ উইকেটে ২২৭ রান।
বড় ফরম্যাটে জিম্বাবুয়ের সবচেয়ে বড় দ্বিতীয় জয় ১৮৩ রানের। সেটিও বাংলাদেশের বিপক্ষে। ২০০৪ সালে হারারেতেই বাংলাদেশকে বিধ্বস্ত করে হিথ স্ট্রিকের নেতৃত্বধীন দলটি। ঐ ম্যাচে ৩৩১ রান করতে পারলেও দ্বিতীয় ইনিংসে ১৬৯ রানে আটকে যায় হাবিবুল বাশারের নেতৃত্বাধীন দলটি। ঐ ম্যাচে দুই ইনিংসে জিম্বাবুয়ের রান ছিল ৪৪১ ও ৮ উইকেটে ২৪২ রান।