সিলেটে অভিষেক টেস্ট জয়ের জন্য জিম্বাবুয়ের কাছ থেকে ৩২১ রানের টার্গেট পেয়েছে বাংলাদেশ। সেই লক্ষ্যে তৃতীয় দিন শেষে বিনা উইকেটে ২৬ রান করেছে টাইগাররা। ফলে টেস্ট জিততে ম্যাচের শেষ দু’দিনে আরও ২৯৫ রান করতে হবে টাইগারদের।
৩২১ রানের টার্গেট স্পর্শ করতে পারলে নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি রান তাড়া করে ম্যাচ জয়ের রেকর্ডই গড়বে বাংলাদেশ। কারণ নিজেদের টেস্ট ইতিহাসে সর্বোচ্চ ২১৫ রান তাড়া করে ম্যাচ জয়ের রেকর্ড রয়েছে বাংলাদেশের।
২০০৯ সালে গ্রানাডায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ২১৫ রানের টার্গেটে ৪ উইকেটে ম্যাচ জিতেছিল বাংলাদেশ। এ ছাড়া আরও দু’টি ম্যাচে রান তাড়া করে ম্যাচ জিতে বাংলাদেশ। ২০১৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১০১ রানের টার্গেট ৩ উইকেট বাকি রেখে টপকে যায় টাইগাররা।
তৃতীয়টি ২০১৭ সালে কলম্বোতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১৯১ রানের টার্গেট ৪ উইকেট হাতে রেখে পেরিয়ে যায় বাংলাদেশ। টেস্ট ক্রিকেটে ১০৯ ম্যাচে ১০টি জয়, ৮২টি হার ও ১৬টি ম্যাচ ড্র করে বাংলাদেশ। ১০টি জয়ের তিনটি রান তাড়া করে জয় পায় বাংলাদশ।
চলতি টেস্টে প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের করা ২৮২ রানের জবাবে ম্যাচের দ্বিতীয় দিনই নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৪৩ রানে গুটিয়ে যায় বাংলাদেশ। ফলে প্রথম ইনিংস থেকে ১৩৯ রানের লিড পায় জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় দিন শেষ সময়ে ২ ওভার ব্যাট করার সুযোগ পায় জিম্বাবুয়ে। বিনা উইকেটে ১ রান করেছিল তারা।
১৪০ রানের লিড নিয়ে তৃতীয় দিনের খেলা শুরু করে জিম্বাবুয়ে। তবে উদ্বোধনী জুটিতে বড় স্কোর করতে পারেনি জিম্বাবুয়ে। ৪ রান করা চারিকে থামিয়ে দেন বাংলাদেশের অফ-স্পিনার মেহেদি হাসান মিরাজ। এরপর ব্রেন্ডন টেইলরকে নিয়ে বড় জুটি গড়ার চেষ্টা করেন মাসাকাদজা। কিন্তু এবারও ব্যর্থ হন টেইলর। ৪টি চারে শুরুটা ভালো হলেও ২৫ বলে ২৪ রান করে বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলামের শিকার হন টেইলর।
দলীয় ১০১ রানে অধিনায়ককে হারিয়ে মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যানদের কাছ থেকে বড় ইনিংসের প্রত্যাশায় ছিল জিম্বাবুয়ে। তবে তিন মিডল-অর্ডার ব্যাটসম্যান উইলিয়ামস, সিকান্দার রাজা ও পিটার মুরকে বড় রান করতে দেননি প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেট নেয়া তাইজুল। তিনজনকেই শিকার করেছেন তিনি। উইলিয়ামস ২০, রাজা ২৫ ও মুর শূন্য রান করেন।
জিম্বাবুয়ের শেষ দুই উইকেট তুলে নিয়ে খুব বেশি সময় নেয়নি বাংলাদেশের বোলাররা। ব্রেন্ডন মাভুতাকে ৬ রানে নাজমুল ও জিম্বাবুয়ের শেষ ব্যাটসম্যান তেন্ডার চাতারাকে ৮ রানে তুলে নেন তাইজুল।
প্রথম ইনিংসে ৬ উইকেটের পর আবারও ৫ উইকেট নেন তাইজুল। ফলে তার ম্যাচ ফিগার দাঁড়ায় ১৭০ রানে ১১ উইকেট। ২০ ম্যাচের ক্যারিয়ারে এই প্রথমবার ম্যাচে ১০ বা ততোধিক উইকেট নিলেন তাইজুল। তাইজুল ছাড়াও বাংলাদেশের পক্ষে মিরাজ ৩টি ও নাজমুল ২ উইকেট নেন।
নিজেদের দ্বিতীয় ইনিংসে ১০ দশমিক ১ ওভারে বিনা উইকেটে ২৬ রান করে বাংলাদেশ। আলো স্বল্পতার কারণে ১৭ ওভার বাকি থাকতে দিনের খেলা শেষ হয়ে যায়। লিটন দাস ১৪ ও ইমরুল কায়েস ১২ রানে অপরাজিত আছেন।