সিলেটের অভিষেক টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ব্যাকফুটে স্বাগতিক বাংলাদেশ। ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতায় জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ১৪৩ রানে অলআউট টাইগাররা। ফলে দ্বিতীয় ইনিংসের ১০ উইকেট হাতে নিয়ে ১৪০ রানে এগিয়ে জিম্বাবুয়ে।
এ অবস্থা জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও ম্যাচ নিয়ে চিন্তা করতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। তবে জয়ের আশা ছাড়েননি বাংলাদেশের বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। দ্বিতীয় দিন শেষে সংবাদ সম্মলনে এমনটাই বললেন তিনি।
তাইজুল বলেন. ‘আমরা জয়ের চিন্তাই করছি। ম্যাচে এখনও তিনদিন বাকি আছে, তিনদিন অনেক সময়। সময় যত গড়াবে উইকেটের অবস্থা ততই খারাপ হবে।’
দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশ ব্যাকফুটে চলে গেলেও আজকের সেরা খেলোয়াড় তাইজুলই। প্রথম ইনিংসে ১০৮ রানে ৬ উইকেট নিয়েছেন তিনি। ২০ ম্যাচের টেস্ট ক্যারিয়ারে এই নিয়ে চতুর্থবারের মত পাঁচ বা ততোধিক উইকেট নেন এ বাঁ-হাতি। তারপরও এমন দিনে হতাশা ঘিরে ধরেছে তাইজুলকে।
বলেন, ‘অনুভূতিটা ভালোই। আসলে পাঁচ-ছয় উইকেট সব সময় আসে না। অবশ্যই ভালো লাগছে। কিন্তু আমি আসলে দলের দৃষ্টিকোন থেকে দেখতে চাইব। দল ভালো করলে ভালো লাগবে।’
দলের ব্যাটসম্যানদের ব্যর্থতা সর্ম্পকে জানতে চাওয়া হলে ভবিষ্যতে ভালো করার ইঙ্গিত দিলেন তাইজুল। তিনি বলেন, ‘সমস্যাটা কোথায় এটা আসলে বলতে গেলে বলব, আমাদের ব্যাটসম্যানরা যে আগে ভালো করে নাই এমন নয়। হয়তো হঠাৎ করেই এমনটা হচ্ছে। ক্রিকেটে এমন দিন আসে। আমরা চেষ্টা করব সামনে ভালো করার।’
টানা সাত টেস্ট ইনিংসে ব্যাটিং ব্যর্থতা দেখালো বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। তবে ব্যর্থতার পেছনে কি আত্মবিশ্বাসের ঘাটতিই কারণ -এমন প্রশ্নের জবাবে তাইজুল বলেন, ‘না এমন কিছু না। আমাদের ব্যাটসম্যান-বোলারদের কথা যদি বলেন, এখানে আত্মবিশ্বাসের ঘাটতি নেই। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে টেস্টের ব্যর্থতার আগেও আমরা বড় বড় দলকে হারিয়েছি। আর দুই একটা সিরিজ এমন হতেই পারে। আর ম্যাচ যে শেষ হয়ে গেছে তাও কিন্তু না। এখনও আরও অনেক সময় আছে এ ম্যাচে।’
দ্বিতীয় ইনিংসে জিম্বাবুয়েকে কত রানে আটকে রাখার পরিকল্পনা বাংলাদেশের? তাইজুল ভাবনায়, ‘জিম্বাবুয়েকে ১৫০ রানের মধ্যে রাখতে পারলে ভালো হবে।’
এদিকে টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ১৪৩ রানে অলআউট হয়ে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তৃতীয় সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন রান ১০৭। ২০০১ সালে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ১০৭ রানে অলআউট হয়েছিল বাংলাদেশ।
এরপর ২০১৩ সালে হারারেতে ১৩৪ রানে অলআউট হয় বাংলাদেশ। এটি ছিলো জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সর্বনিম্ন রান। টেস্ট ফরম্যাটে বাংলাদেশের সর্বনিম্ন রান ৪৩ রানের। চলতি বছরের জুলাইয়ে অ্যান্টিগায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ম্যাচের প্রথম ইনিংসে ৪৩ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ।