সিলেটের অভিষেক টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ১০৮ রানে ৬ উইকেট শিকার করেছেন বাংলাদেশের বাঁ-হাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম। সেই সাথে হ্যাটট্রিকের সম্ভাবনাও তৈরি করে রাখলেন তিনি।
ম্যাচের প্রথম ইনিংসের ১১৮তম ওভারের দ্বিতীয় ও তৃতীয় বলে জিম্বাবুয়ের দুই টেল-এন্ডার কাইল জার্ভিস ও তেন্ডাই চাতারাকে শিকার করেন তাইজুল। পরপর দু’বলে উইকেট শিকার করে হ্যাটট্টিকের সম্ভাবনা তৈরি করে রাখলেন তিনি। যদি তিনি ম্যাচের তৃতীয় ও জিম্বাবুয়ের ইনিংসে বল হাতে নিজের প্রথম ডেলিভারিতে উইকেট শিকার করতে পারেন তাহলেই তিনি হ্যাটট্টিকের স্বাদ নেবেন।
সেই স্বাদ নিতে পারলে টেস্ট ক্রিকেটে ৪৪তম হ্যাটট্রিকের জন্ম দেবেন তাইজুল। একই সঙ্গে বাংলাদেশের তৃতীয় হ্যাটট্রিকম্যান হবেন তাইজুল। এর আগে বাংলাদেশের হয়ে অলক কাপালি ও সোহাগ গাজী হ্যাটট্রিক করেছিলেন।
২০০৩ সালে পেশোয়ারে পাকিস্তানের বিপক্ষে বাংলাদেশের হয়ে প্রথম হ্যাটট্রিক করেছিলেন কাপালি। পাকিস্তান সফরের তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট ছিলো সেটি। ম্যাচের দ্বিতীয় ও পাকিস্তানের প্রথম ইনিংসের ১০৭তম ওভারের শেষ দুই বলে উইকেট নেন কাপালি। ফলে হ্যাটট্টিকের সম্ভাবনা তৈরি হয়।
এরপর ১০৯তম ওভারের প্রথম বলে পাকিস্তানের শেষ ব্যাটসম্যানকে তুলে নিয়ে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন কাপালি। তার শিকার হয়েছেন পাকিস্তানের তিন টেল-এন্ডার ব্যাটসম্যান- সাব্বির আহমেদ, দানেশ কানেরিয়া ও উমর গুল।
২০১৩ সালে চট্টগ্রামে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক করেন গাজী। ম্যাচের তৃতীয় ও নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে হ্যাটট্রিক করেন গাজী। ঐ ইনিংসের ৮৫তম ওভারের দ্বিতীয় থেকে চতুর্থ বল পর্যন্ত কিউইদের তিন ব্যাটসম্যান যথাক্রমে- কোরি এন্ডারসন, বিজে ওয়াটলিং ও ডগ ব্রেসওয়েলকে শিকার করে হ্যাটট্রিক পূর্ণ করেন গাজী।