বাংলাদেশের বিপক্ষে জিম্বাবুয়ে সবশেষ টেস্ট সিরিজ খেলেছে ২০১৪ সালে। সাকিব-তাইজুল-জুবায়েরদের স্পিন খেলতে নাভিশ্বাস উঠেছিল সফরকারী ব্যাটসম্যানদের। তিন ম্যাচের সিরিজে হোয়াইটওয়াশ হয়ে ফেরা দলটির স্পিনে পড়েছিল ৪৯ উইকেট। চার বছর পর বাংলাদেশে এসে তাই স্বাগতিকদের স্পিনেই বেশি ভয় সফরকারীদের।
জুবায়ের হোসেন লিখন তিন বছর ধরে নেই বাংলাদেশ দলে। চোটের কারণে খেলছেন না সাকিব আল হাসান। তারপরও টাইগারদের স্পিন নিয়ে ভাবনায় জিম্বাবুয়ে দলের অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেলর।
রোববার জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলন শেষে টেলর বললেন, ‘বাংলাদেশের যে জিনিসটা সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ আমাদের জন্য, সেটি হল স্পিন। ওদের স্পিনারদের যেন আমরা ঠিকমতো খেলতে পারি সেটা নিশ্চিত করতে হবে। বাংলাদেশের কয়েকজন দারুণ স্পিনার আছে। আর এই কন্ডিশনটাও তো স্পিনের জন্য ভালো।’
‘তবে আমার বিশ্বাস আমাদের ব্যাটসম্যানরা চ্যালেঞ্জটা নেয়ার জন্য টেকনিক্যালি ও মানসিকভাবে প্রস্তুত। আমাদের বোলারদেরও বাংলাদেশের ২০ উইকেট নিতে হবে। বাংলাদেশ এই কন্ডিশনে নিজেদের সামর্থ্য প্রমাণ করেছে আগেই, বেশ সফল ওরা। আশা করি আমাদের খেলোয়াড়েরা এমনকিছু একটা করবে, যাতে ম্যাচের শেষপর্যন্ত ফলটা যে কোনো পক্ষেই যেতে পারে।’
৩ নভেম্বর সিলেটে শুরু হবে দুই ম্যাচ সিরিজের প্রথম টেস্ট। সিলেট যাওয়ার আগে চট্টগ্রামে বিসিবি একাদশের বিপক্ষে সোমবার থেকে তিন দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে নামবে সফরকারীরা। এখানে নিজেদের প্রস্তুত করেই মাসাকাদজা-টেলররা যেতে চান টেস্টের ভেন্যুতে।
‘সব খেলোয়াড়দের দীর্ঘ ফরম্যাটের জন্য নিজেদের তৈরি করে নেয়ার একটা ভালো সুযোগ এটা। টেস্টের আগে আমাদের হাতে খুব বেশি সময় নেই, তিন দিনের একটা ম্যাচ পেয়েছি আমরা। সেটার সর্বোচ্চ ব্যবহার করতে হবে আমাদের।’
ওয়ানডে সিরিজে টাইগারদের কাছে হোয়াইটওয়াশ হওয়া জিম্বাবুয়ে কি পারবে টেস্টে ঘুরে দাঁড়াতে? টেলর বললেন, ‘সিলেটের উইকেট ব্যাটিংবান্ধব হওয়ার কথা। ঢাকার থেকে আলাদা। সিলেটে প্রথম দুইদিন ব্যাটসম্যান, পরের সময়টাতে ধীরে ধীরে স্পিনাররা সহায়তা পেতে শুরু করবে বলে আমার মনে হয়। চট্টগ্রামে প্রস্তুতি ম্যাচে কোনো সমস্যা নেই। এখানে তিন দিনের ম্যাচ থেকে ভালো প্রস্তুতি নিলে সিলেটে টেস্টেও ভালো করব আশা করি।’