ভারতের সঙ্গে চলমান সিরিজের তৃতীয় টেস্টে লঙ্কান খেলোয়াড়দের মাস্ক পড়ে মাঠে প্রবেশের ঘটনাটি নতুন বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। এ ঘটনার জেরে এখন ডাক্তাররাই সরব হয়ে উঠেছেন। তাদের মতে, দিল্লির দূষণ যুক্ত ধোয়াশাময় পরিবেশে কোন খেলাধুলাই নিরাপদ নয়।
এ মুহূর্তে দিল্লির দূষিত বাতাসে খেলোয়াড়দের স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশঙ্কা থাকায় তারা ক্রিকেট নিয়ন্ত্রক সংস্থাকে চলমান ভারত- শ্রীলঙ্কার মধ্যকার চলমান তৃতীয় টেস্টের কার্যক্রম পুনঃপর্যালোচনার আহ্বান জানিয়েছেন।
মঙ্গলবার টেস্টের চতুর্থ দিনে ফিল্ডিং করার সময় সফরকারী লঙ্কান ফাস্ট বোলার সুরঙ্গ লাকমাল দুইবার বমি করেছেন। ড্রেসিং রুমে তিনি ফিরে যাবার আগেই অসুস্থ হয়ে পড়েন। দিল্লির ফিরোজশাহ কোটলা স্টেডিয়ামে ম্যাচ চলাকালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নির্ধারিত নিরাপদ দূষণের তুলনায় ১৫ গুণ বেশি দূষণ পরিলক্ষিত হয়েছে দিল্লীর বাতাসে।
এ সময় অসুস্থ বোধ করা শ্রীলঙ্কার তিন খেলোয়াড়কে পর্যবেক্ষণ করে ম্যাচের দায়িত্বরত চিকিৎসকরা তদের শারিরিক অবস্থা স্বাভাবিক আছে বলে উল্লেখ করলেও এর বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে ইন্ডিয়ান মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন (আইএমএ)। তাদের দাবি এ রকম দূষণ যুক্ত পরিবেশে খেলতে গেলে খেলোয়াড়দের মারাত্মক স্বাস্থ্য ঝুঁকির আশঙ্কা রয়েছে।
আইএমএ’র সভাপতি কে কে আগারওয়াল বলেন, ‘এখানকার পরিবেশ খেলা পরিচলানার উপযোগী নয়। এখন আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিলের (আইসিসি) উচিৎ হবে দূষণ বিষয়ে তাদের নীতি নির্ধারণে এগিয়ে আসা। এমন কন্ডিশনে টানা পাঁচদিন ম্যাচ খেলতে গেলে ফাস্ট বোলার, ব্যাটসম্যান এবং ফিল্ডাররা দীর্ঘমেয়াদী গুরুতর স্বাস্থ্যঝুকিতে পড়তে পারে।’
তবে তার এই বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করেছে দেশটির এই ক্রীড়ার পরিচালনা পরিষদ। এটি নিয়ে বাড়াবাড়ি করার জন্য সফরকারী শ্রীলঙ্কাকে দায়ী করেছে ভারতের শক্তিশালী ক্রিকেট বোর্ড। উদাহারণ হিসেবে দেখিয়েছেন ভারতীয় অধিনায়ক রিরাট কোহলির রেকর্ড সংখ্যক ডাবল সেঞ্চুরির ঘটনাকে।
এদিকে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ওয়েবসাইট আবারও দিল্লীর পরিবেশ দূষণের ব্যাপকতা তুলে ধরে দিল্লীর বাসিন্দাদের ‘ঘরের বাইরে কম যাওয়ার’ পরামর্শ দিয়েছে।
সাধারণ দিল্লি ও ভারতের উত্তরাঞ্চল এবং পার্শবর্তী পাকিস্তানে শীতকালে পরিবেশ দূষণের মাত্রা বেড়ে যায়। বক্ষও ফুসফুস ক্যান্সার বিশেষজ্ঞ ডাক্তার অরবিন্দ কুমার বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেছেন, ‘শীতকালে দিল্লিতে কোন খেলাধুলার আয়োজন না করাই শ্রেয়।’