অবসরে যাচ্ছেন টেস্ট ক্রিকেটে সবচেয়ে সফল বাঁ-হাতি স্পিনার শ্রীলঙ্কার রঙ্গনা হেরাথ। নিজ মাঠে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে তিন টেস্টের পুরো সিরিজ না খেলে গল-এ প্রথম ম্যাচ খেলেই অবসর নেবেন বলে নির্বাচকদের জানিয়েছেন হেরাথ।
হেরাথের জন্য আবেগময় এক ভেন্যু গল। এ মাঠেই ১৯৯৯ সালে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল এ তারকা স্পিনারের। এ ছাড়া আর মাত্র একজন ব্যাটসম্যানকে আউট করতে পারলেই এ ভেন্যুতে ১০০ উইকেট শিকারী হিসেবে কিংবদন্তী মুত্তিয়া মুরলিধরনের পাশে নাম লেখাবেন হেরাথ। ইংল্যান্ডে কাউন্টি লীগে খেলতে থাকা অবস্থায় হঠাৎ করে শ্রীলঙ্কা টেস্ট দলে ডাক পেয়ে পয়মন্ত এ মাঠেই ৩১ বছর বয়সে ২০০৯ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে টেস্টে ১০ উইকেট শিকার করে লংগার ভার্সনে ক্যারিয়ার পুনরুজ্জীবিত করেছিলেন তিনি।
ইনজুরির কারণে ২০১৭ সালের জানুয়ারী মাসের পর কখনো তিন টেস্টের পুরো সিরিজ খেলেননি ৪০ বছর বয়সী হেরাথ। মুরলিধরন অবসরে যাওয়ার পর থেকেই লঙ্কান দলের স্পিন আক্রমনের নেতৃত্ব দিতে হচ্ছে তাকে। যে কারণে গত কয়েক বছর হাঁটুর ইনজুরি সমস্যাকে মানিয়ে নিয়ে টেস্ট ক্রিকেট চালিয়ে যেতে হচ্ছে তাকে।
হেরাথের অবসরের ফলে শ্রীলঙ্কা স্পিন বিভাগে আরেকবার শূন্যতা দেখা দেবে। অন্তত আসন্ন ইংল্যান্ডে সিরিজে ও বাকি দুই ম্যাচে অফ স্পিনার দিলরুয়ান পেরেরাকে দলের স্পিন বিভাগের আক্রমণের দায়িত্ব নিতে হতে পারে। এ ছাড়া শ্রীলঙ্কা দলে আকিলা ধনঞ্জয়া, লক্ষণ সান্দাকান, মালিন্দা পুষ্পকুমারা আরো তিন স্পিনার রয়েছে। এ তিনজন ছাড়া কেবলমাত্র দিলরুয়ানেরই ১০’র অধিক টেস্ট খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে।
হেরাথের অবসরের ফলে দ্বীপ রাষ্ট্রটিতে আধুনিক ক্রিকেটে একটি স্মরণীয় ক্যারিয়ারেরও সমাপ্তি ঘটবে। ৪৩০ উইকেট শিকার করে টেস্ট ক্রিকেট ইতিহাসে দশমতম সফল বোলার হেরাথ। তবে টেস্ট ক্যারিয়ারে নিজের প্রথম দশকে দলে জায়গা পেতে তাকে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। ৩৫ বছর বয়সের পর তিনি ২৩০ উইকেট শিকার করেছেন। এ বয়সে যা অন্য কোন বোলারই পারেননি। শেষ টেস্টে ৫ উইকেট শিকার করতে পারলে রিচার্ড হ্যাডলি(৪৩১), স্টুয়ার্ট ব্রড(৪৩৩) এবং কপিল দেবকে (৪৩৪) ছাড়িয়ে সর্বকালের সর্বোচ্চ শিকারীর তালিকায় সপ্তম স্থানে জায়গা করে নেবেন তিনি।
১৯৯০ দশকে অভিষেক হওয়ার পর সর্বশেষ সক্রিয় টেস্ট ক্রিকেটারও তিনি।
আগামী ৬ নভেম্বর গলেতে প্রথম টেস্ট শুরু হবে।