আবুধাবি টেস্টে অস্ট্রেলিয়াকে রেকর্ড ব্যবধানে হারালো পাকিস্তান। সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অসিদের বিরুদ্ধে ৩৭৩ রানের বড় ব্যবধানে জিতেছে পাকিস্তান। টেস্টে নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসে রান বিবেচনায় এটি তাদের সবচেয়ে বড় ব্যবধানে জয়ের রেকর্ড।
পাকিস্তানের এর আগে সবচেয়ে বড় জয় ছিল ৩৫৬ রানে। ২০১৪ সালে এ ভেন্যুতেই অস্ট্রেলিয়াকে হারিয়েছিল তারা। এ জয়ে দুই ম্যাচের সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জিতলো সরফরাজের দল।
তৃতীয় দিন শেষেই ম্যাচ জয়ের স্বপ্ন দেখছিল পাকিস্তান। অস্ট্রেলিয়াকে ৫৩৮ রানের বিশাল টার্গেট দেয় তারা। সেই লক্ষ্যে দিন শেষে ১ উইকেটে ৪৭ রান করে অস্ট্রেলিয়া। ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ ২৪ ও ট্রাভিস হেড ১৭ রানে অপরাজিত ছিলেন।
চতুর্থ দিন ফিঞ্চ ৩১ রানে থামলেও বড় ইনিংস খেলার চেষ্টা করেন হেড। কিন্তু বেশি দূর যেতে পারেননি তিনি। ৩৬ রানে থামতে হয় তাকে। এর মাঝে মিডল-অর্ডারের অন্য দুই ব্যাটসম্যান মিচেল মার্শ ও অধিনায়ক টিম পাইন শূন্য হাতে ফিরেন। ফলে ৭৮ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে ম্যাচ হারের পথ তৈরি হয়ে যায় সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার।
এরপর ব্যাট হাতে লড়াই করার চেষ্টা করেন মার্নাস লাবুসচাগনে ও মিচেল স্টার্ক। ষষ্ঠ উইকেটে শক্তহাতেই পাকিস্তানের বোলারদের সামলাতে থাকেন তারা। ফলে দলীয় স্কোর দেড়শ’র কাছাকাছি চলে যায়। কিন্তু দেড়শ স্পর্শ করার আগেই এই জুটিকে বিচ্ছিন্ন করেন পাকিস্তানের লেগ-স্পিনার ইয়াসির শাহ। ২৮ রান করা স্টার্ককে শিকার করেন ইয়াসির।৪৩ রান করা লাবুসচাগনেকে আউট করে ম্যাচে দ্বিতীয়বারের মত পাঁচ উইকেট নেন পাকিস্তানের পেসার মোহাম্মদ আব্বাস। তার বিদায়ের কিছুক্ষণ পরই ১৬৪ রানে অলআউট হয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া।
৬২ রানে ৫ উইকেট নেন আব্বাস। প্রথম ইনিংসে ৩৩ রানে ৫ উইকেট নিয়েছিলেন তিনি। ক্যারিয়ারে প্রথমবারের মত ম্যাচে ১০ উইকেট নিলেন আব্বাস। তাই ম্যাচ ও সিরিজ সেরা হয়েছেন আব্বাস।
টেস্ট সিরিজ শেষে এবার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলবে পাকিস্তান ও অস্ট্রেলিয়া। যা শুরু হবে ২৪ অক্টোবর থেকে।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান : ২৮২ ও ৪০০/৯ডি, ১২০ ওভার (বাবর ৯৯, সরফরাজ ৮১, লিও ৪/১৩৫)।
অস্ট্রেলিয়া : ১৪৫ ও ১৬৪, ৪৯.৪ ওভার (লাবুসচাগনে ৪৩, হেড ৩৬, আব্বাস ৫/৬২)।
ফল : পাকিস্তান ৩৭৩ রানে জয়ী।
সিরিজ : দুই ম্যাচের সিরিজ ১-০ ব্যবধানে জিতলো পাকিস্তান।
ম্যাচ সেরা : মোহাম্মদ আব্বাস (পাকিস্তান)।
সিরিজ সেরা : মোহাম্মদ আব্বাস (পাকিস্তান)।