প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডকে ২২৭ রানে অলআউট করে প্রতিপক্ষকে ফলো-অনে না পাঠিয়ে স্বস্তিতে নেই স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া। ম্যাচের তৃতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে বিপদেই পড়েছে স্বাগতিকরা। স্কোরবোর্ডে ৫৩ রান উঠতেই ৪ উইকেট হারিয়ে অস্বস্তি নিয়েই তৃতীয় দিনের খেলা শেষ করতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়ার। তবে প্রথম ইনংসে ভালো লিড থাকায় ৬ উইকেট হাতে নিয়ে ২৬৮ রানে এগিয়ে রয়েছে তারা।
শন মার্শের অপরাজিত ১২৬ রানের কল্যাণে প্রথম ইনিংসে ৮ উইকেটে ৪৪২ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া। জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে ১ উইকেটে ২৯ রান তুলেছিল ইংল্যান্ড। তৃতীয় দিন বড় স্কোর করা লক্ষ্য ছিল ইংলিশদের। কিন্তু অসিদের দুই বোলার স্পিনার নাথান লিঁও ও পেসার মিচেল স্টার্কের বোলিং তোপে পড়ে বড় ইনিংস খেলতে পারেনি ইংল্যান্ডের কোন ব্যাটসম্যানই।
দুর্দান্ত বোলিংয়ের পাশাপাশি অসাধারণ দু’টি ক্যাচ নিয়েছেন লিঁও ও স্টার্ক। ইংল্যান্ডের মঈন আলীকে নিজের ডেলিভারিতেই বাঁ-দিকে ঝাপিয়ে পড়ে দুর্দান্ত এক ক্যাচ নেন লিঁও। আর নিজের ডেলিভারিতেই জনি বেয়ারস্টো ও ক্রিস ওকসের ক্যাচ নিয়েছেন স্টার্ক।
স্বীকৃত ব্যাটসম্যানরা বড় ইনিংস খেলতে ব্যর্থ হলেও অভিষেক টেস্টের প্রথম ইনিংসেই ইংল্যান্ডের হয়ে সর্বোচ্চ অপরাজিত ৪১ রান করেন ডান-হাতি পেসার ক্রেইগ ওভারটন। ৯ নম্বরে নেমে ৭৯ বলে ৫টি চারে নিজের ইনিংস সাজান তিনি। এছাড়া সাবেক অধিনায়ক অ্যালিস্টার কুক ৩৭, ক্রিস ওকস ৩৬, মঈন ২৫, বেয়ারস্টো ২১, ডেভিড মালান ১৯ ও মার্ক স্টোনম্যান ১৮ রান করেন।
৬০ রানে ৪ উইকেট নিয়েছেন লিঁও। ফলে ভারতের পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষেও নিজের ক্যারিয়ারে ৫০ উইকেট শিকারের মাইলফলক স্পর্শ করলেন লিঁও। ৪৯ রানে ৩ উইকেট নিয়ে ইংল্যান্ডকে দ্রুত গুটিয়ে ভূমিকা রাখেন স্টার্কও। এছাড়াও প্যাট কামিন্স ২টি ও জশ হ্যাজেলউড ১টি উইকেট নেন। তাই ২২৭ রানে প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় ইংল্যান্ড। এতে ফলো-অনের শংকায় পড়ে সফরকারীরা। কিন্তু ইংলিশদের ফলো-অনে না পাঠিয়ে নিজেরাই আবার ব্যাটিংয়ে নামে অস্ট্রেলিয়া।
প্রথম ইনিংস থেকে ২১৫ রান লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে খেলতে নেমে ইংল্যান্ডের দুই পেসার জেমস এন্ডারসন ও ক্রিস ওকসের বোলিং তোপে পড়ে অস্ট্রেলিয়া। দলীয় ৫ রানে প্রথম উইকেট হারায় তারা। ৪ রান করে এন্ডারসনের প্রথম শিকার হন ক্যামেরন বেনক্রফট।
এরপর পরিস্থিতি সামাল দেন আরেক ওপেনার ডেভিড ওয়ার্নার ও তিন নম্বরে নামা উসমান খাজা। দ্বিতীয় উইকেটে জুটি বেধে ভালোই এগোচ্ছিলেন তারা। কিন্তু জুটিতে ৩৪ রান করার পর তাদেরকে বিচ্ছিন্ন করে দেন এন্ডারসন। ২০ রানে থাকা খাজাকে নিজের দ্বিতীয় শিকার বানান এন্ডারসন।
এন্ডারসনের উইকেট শিকারে উজ্জীবিত হয়ে অন্যপ্রান্ত দিয়ে অস্ট্রেলিয়াকে আরও চাপে ফেলে দেন ওকস। অসিদের প্রধান দুই ব্যাটসম্যান ওয়ার্নার ও অধিনায়ককে স্টিভেন স্মিথকে ৯ রানের ব্যবধানে শিকার করেন ওকস। ওয়ার্নার ১৪ ও স্মিথ ৬ রান করেন। এ সময় দলের স্কোর ৫০ রান।
দ্রুত ৩ উইকেট হারানোর দিনের বাকী ১৬ বল বিপদ ছাড়া পার করে দেন পিটার হ্যান্ডসকম্ব ও লিঁও। দু’জনই ৩ রান নিয়ে অপরাজিত আছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর :
অস্ট্রেলিয়া : ৪৪২/৮ডি ও ৫৩/৪, ২৬ ওভার (খাজা ২০, ওয়ার্নার ১৪, ওকস ২/১৩)।
ইংল্যান্ড : ২২৭/১০, ৭৬.১ ওভার (ওভারটন ৪১*, কুক ৩৭, লিঁও ৪/৬০)।