অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা ডান-হাতি অফ-স্পিনার বিলাল আসিফ ও ডান-হাতি পেসার মোহাম্মদ আব্বাসের বোলিং নৈপুণ্যে দুবাই টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে ২৮০ রানের বড় লিড পেয়েছে পাকিস্তান।
আসিফের ৬ ও আব্বাসের ৪ উইকেট শিকারে ২০২ রানেই প্রথম ইনিংসে গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। এতে ফলো-অনে পড়ে অসিরা। কিন্তু অসিদের ফলো-অন না করিয়ে ম্যাচের তৃতীয় ইনিংসেই ব্যাট করতে নামে পাকিস্তান।
দ্বিতীয় ইনিংসে তৃতীয় দিন শেষে ৩ উইকেটে ৪৫ রান করেছে পাকিস্তান। ফলে ৭ উইকেট হাতে নিয়ে ৩২৫ রানে এগিয়ে সরফরাজের দল। প্রথম ইনিংসে ৪৮২ রান করেছিল পাকিস্তান।
দ্বিতীয় দিন শেষে ১৩ ওভার ব্যাট করে বিনা উইকেটে ৩০ রান করেছিল অস্ট্রেলিয়া। দুই ওপেনার উসমান খাজা ১৭ ও অভিষেক ম্যাচ খেলতে নামা অ্যারন ফিঞ্চ ১৩ রানে অপরাজিত ছিলেন। তৃতীয় দিন ব্যাট হাতে নিজেদের সেরাটা দিতে থাকেন তারা। তাই বিনা উইকেটে ১৩৭ রান নিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে যায় অস্ট্রেলিয়া। এসময় খাজা ৬৮ ও ফিঞ্চ ৫৯ রানে অপরাজিত ছিলেন।
তবে মধ্যাহ্ন বিরতির পর ফিরে এসেই তাসের ঘরের মত ভেঙ্গে পড়ে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন-আপ। আসিফের ঘূর্ণি ও আব্বাসে পেস তোপে ২০২ রানেই গুটিয়ে যায় অস্ট্রেলিয়া। ১৪২ রানে প্রথম উইকেটের পতন হয় অসিদের। অর্থাৎ ৬০ রানে শেষ ১০ উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া।
খাজা ৮৫, ফিঞ্চ ৬২, মিচেল মার্শ ১২ ও পিটার সিডল ১০ রান করেন। আসিফ ৩৬ রানে ৬ ও আব্বাস ২৯ রানে ৪ উইকেট নেন। পাকিস্তানের হয়ে অভিষেকে সেরা বোলিংয়ে তৃতীয়স্থানে নিজের নাম তুলেছেন আসিফ। অভিষেকেই পাকিস্তানের পক্ষে সেরা বোলিং ফিগার মোহাম্মদ জাহিদের। ১৯৯৬ সালে রাওয়ালপিন্ডিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে নিজের অভিষেক ম্যাচে ৬৬ রানে ৭ উইকেট নিয়েছিলেন জাহিদ।
দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে নেমে বিপর্যয়ে পড়েছে পাকিস্তান। প্রথম ইনিংসের সেঞ্চুরিয়ান মোহাম্মদ হাফিজ ১৭, নাইটওয়াচম্যান আসিফ শুন্য ও আজহার আলী ৪ রান করে ফিরেন। অস্ট্রেলিয়ার বাঁ-হাতি স্পিনার জন হল্যান্ড ২টি ও ডান-হাতি অফ-স্পিনার নাথান লিঁও ১টি উইকেট নেন। পাকিস্তানের ওপেনার ইমাম ২৩ রানে অপরাজিত আছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর
পাকিস্তান : ৪৮২ ও ৪৫/৩, ১৬.২ ওভার (ইমাম ২৩*, হাফিজ ১৭, হল্যান্ড ২/৯)।
অস্ট্রেলিয়া : ২০২/১০, ৮৩.৩ ওভার (খাজা ৮৫, ফিঞ্চ ৬২, আসিফ ৬/৩৬)।